পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : যতদিন পর্যন্ত কাশ্মীর ভারতের অধীনে থাকবে, ততদিন ভারতীয় সেনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবো। সদ্য প্রকাশ করা এক ভিডিওতে এমনটাই দাবি করেছে হিজবুল মুজাহিদীনের সাবেক সদস্য জাকির মুসা। সাত মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মুসা। গতকাল মঙ্গলবার ওই ভিডিও প্রকাশের কথা জানিয়েছে ভারতীয় ও কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যমগুলো। ভিডিওতে মুসা বলছে, প্রথমে ভারতের দখলদারি থেকে মুক্ত করতে হবে, তারপর অন্য সমস্যার সমাধান করতে হবে। কেউ যেন এই সমস্যা থেকে অযথা সুবিধা না নেয়। মুসা আরো বলছে যে, সব যোদ্ধাই শরিয়ত ও শাহদাতে বিশ্বাস করে। শরিয়ত ও শাহদাতকে সম্মান জানানোর জন্য আল-কায়েদাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মুসা। তাদের শ্লোগান ওই ম্যাগাজিনে ব্যবহার করার জন্যও বাহবা দিয়েছে মুসা। অন্য সংগঠনে যোগ দেয়ার খবর ভুয়া বলেও উড়িয়ে দিয়েছে মুসা। এর আগে একটি অডিও বার্তায় মুসা হুমকি দেয়, কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতাদের মাথা কেটে শ্রীনগরের লালচকে ঝুলিয়ে দেবে তার গোষ্ঠী, কারণ, তারা বলেন, কাশ্মীর সমস্যার চরিত্র রাজনৈতিক, তা ইসলামের লড়াই নয়। কিন্তু হুরিয়ত জানিয়ে দেয়, মুসা যা বলছে, তা হিজবুলের মত নয়। পাশাপাশি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে মুসার বক্তব্য খারিজ করে দেয় হিজবুল মুখপাত্র সালিম হাসমিও। এরপরই হিজবুলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে মুসা। গত শুক্রবার মুসার বিতর্কিত বিবৃতি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়। তাকে বলতে শোনা যায়, হুরিয়তের দ্বিচারী নেতাদের সাবধান করে দিচ্ছি, আমাদের ইসলামের লড়াইয়ে নাক গলাবেন না, মাথা কেটে লালচকে ঝুলিয়ে দেব! সে জানিয়ে দেয়, কাশ্মীরে শরিয়তের শাসন চালু করতেই সে লড়ছে। কাশ্মীর ইস্যুকে রাজনৈতিক লড়াই বলতে চায় না সে। এটা তার স্পষ্ট অবস্থান। সে আরো দাবি করে, কোনো বিশেষ নেতা বা হুরিয়ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানির বিরুদ্ধে কিছু বলেনি সে। কিন্তু সে শুধু সেইসব লোকের বিরুদ্ধেই বলেছে যারা ইসলামের বিরোধী, কাশ্মীরে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার কথা বলছেন। তার যুক্তি, আমি লড়ছি ইসলামের জন্যই, আমার রক্ত ঝরবে শুধুই ইসলামের জন্য, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য নয়। টাইমস অফ ইনডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।