নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দু’টি আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও ফ্লাডলাইট জটিলতায় পড়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা হকি ওয়ার্ল্ড লিগের দ্বিতীয় পর্বের খেলা। এরপর ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর টার্ফে গড়াবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা। এ দুই আন্তর্জাতিক আসরের আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে ওমান ও সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু ঢাকার প্রধান ভেন্যু মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট না থাকায় বিপাকে পড়েছে দেশের হকির সর্বোচ্চ সংস্থাটি। হকি ওয়ার্ল্ড লিগের দ্বিতীয় পর্বের খেলা দিনের আলোতে আয়োজন করতে পারলেও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফ্লাডলাইটেই আয়োজন করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে যদি অক্টোবরের আগে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন না হয় তবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন জটিলতায় পড়বে হকি ফেডারেশন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ না পারলে আয়োজক হওয়ার জন্য লড়বে চীন ও জাপান।
অতীতে ঢাকায় হকির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসর বসেছে। এশিয়া কাপ ও এশিয়ান গেমসের বাছাই পর্বের খেলাসহ নানা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে। কিন্তু বাংলাদেশ হকি ওয়ার্ল্ড লিগের মতো মর্যাদাপূর্ণ আসরের আয়োজক হতে যাচ্ছে এই প্রথম। আয়োজক হওয়ার সুবাদে এ আসরে সরাসরি দ্বিতীয় পর্বে খেলবে লাল-সবুজরা। সেদিক থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তো স্বপ্নের আসর। যেখানে অংশ নেয় এশিয়া সেরা ছয় দেশ। পরবর্তী আয়োজনে খেলবে দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, মালোয়েশিয়া, জাপান ও চীন। শীর্ষ ৬ দেশের সঙ্গী হবে স্বাগতিকরা। হকিতে এশিয়ার পরাশক্তিদের সঙ্গে খেলার সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রথমেই দরকার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন। ফ্লাডলাইট ও পূর্ণাঙ্গ পাওয়ার স্টেশন স্থাপনে প্রয়োজন প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। আর ওই পরিমাণ অর্থ চেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। তবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় ফ্লাডলাইট স্থাপনে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আমরা ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)’র মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। যেখানে ফ্লাডলাইট স্থাপন, প্রেসবক্স সংস্কারসহ স্টেডিয়ামে লিফট সংযোজন করার কথা উল্লেখ আছে। আশাকরি সংশ্লিষ্টরা আমাদের চাহিদা মোতাবেক অর্থই বরাদ্দ দিবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।