Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুর্ভোগ-দুরবস্থায় ভেদরগঞ্জ

শরীয়তপুর জেলা শহরের ছয়গাঁও-বাংলাবাজার-ভেদরগঞ্জ প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানে পিচের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইজিবাইকগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটা বিচিত্র নয়। আশার কথা, ইতিমধ্যে রাস্তার কিছু অংশে মেরামত করা শুরু হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমের আগে পুরো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’- এর মতো ভেদরগঞ্জের আরেকটি সমস্যা বিদ্যুৎ। এখানে শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় যা ডামুড্যা সার্ভার থেকে সঞ্চালিত। এখানকার উপজেলা পরিষদে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিসের পাশাপাশি ৬টি ব্যাংক শাখা কাজ করছে। তাছাড়া স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু দিনরাত মিলিয়ে ৮/১০ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। অফিস সময়ে ২/৩ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ না থাকায় দাপ্তরিক কাজকর্মে বিশেষ অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংকের গ্রাহকসেবা বিঘিœত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখানে সব ব্যাংকেরই অনলাইন শাখা। বিকল্প ব্যবস্থায় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎবিহীন দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ দেয়া সম্ভব নয়। কাজেই, ভেদরগঞ্জবাসীর রাস্তা ও বিদ্যুতের বিষয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সেলিম হাফিরু
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর

পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের প্রতি কেন অবহেলা?

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এগিয়েছে। ক্রিকেট এ দেশের মানুষের আবেগ এবং ভালোবাসার স্থান। তাই দল নির্বাচন বা একাদশ সাজানো নিয়ে সমস্যা হলেই ক্রিকেটপ্রেমীরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজসহ বেশ কয়েকটি সিরিজের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের কোনো কারণ ছাড়াই বাদ দেয়া হয়েছে। মি. ফিনিশার খ্যাত নাসির হোসেন যখন দলের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে থাকেন না তখন প্রশ্ন নাসির হোসেন নয়Ñ রুবেল, আলআমিন, আনামুল, মুমিনুলরা এদেশের প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার, পরীক্ষিত ক্রিকেটার। এঁরা যে কোনো ফরম্যাটে, যে কোনো কন্ডিশন খেলার উপযোগী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এঁদের বাদ দিয়ে নবাগত যেসব ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের পরাফর্মকে মূল্য দিতে হবে, তাঁদের অবমূল্যায়ন করা চলবে না।
মামুনুর রশিদ
গণিত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

গরুর মাংসের দাম

গরুর মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪২০ টাকা। এ দাম গত রোজার সময় সিটি করপোরেশন বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কসাইরা গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদারদের অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করে। তারা দাবি করে ইজারাদাররা সরকার নির্ধারিত হারে টোল আদায় করলে তারা ৩০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে পারবে। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে ধর্মঘটের পর গরুর মাংসের দাম ৪৮০/৫০০ টাকা হয়ে গেছে! ৩০০ টাকার মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি হলেও এ বিষয়ে দুই সিটি করপোরেশনের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ইজারাদারদের অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করে অবিলম্বে গরুর মাংসের দাম পুননির্ধারণ করার জন্য দুই সিটি মেয়রের প্রতি অনুরোধ করছি।
মো . আলী হায়দার
ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন