পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় নেতাকর্মীদের দুই গ্রæপের হাতাহাতি ও মারামারির কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রধান অতিথির বক্তব্য না দিয়ে হল ছাড়তে হল। গতকাল বিকালে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের মিলনায়তনে ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা-২০১৭ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্য দেয়ার পর অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের দেয়া বক্তব্যের জের ধরে প্রথমে হাতা হাতি পরে মারা-মারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় দেখা যায়, মঞ্চের সামনে বসে থাকা নেতা-কর্মীরা পানির বোতল ছুড়ে মাড়ছে মঞ্চের দিকে। এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল মান্নান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিনসহ অন্য নেতারা। এছাড়া মিলনায়তনের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকরাসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রচুর নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দুই দফায় হাতাহাতি ও মারামারির পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বের হয়ে যান। এরপর খন্দকার মাহবুব হোসেনও চলে যান। শেষে আমানউল্লাহ আমান বর হতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। পরে মিলনায়তনের ভিতরে ফিরে এসে খানিক সময় অপেক্ষা করে পরে দ্রæত স্থান ত্যাগ করেন। তিনি যখন মিলনায়তনের ভিতরে অবস্থান করছিলেন তখন বাইরে নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই হামলা ও পালটা হামলায় লিপ্ত হয়।
কেন হাতাহাতির ঘটনা ঘটল এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেরানীগঞ্জের আমিনবাজার ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক ইমন মাহমুদ পান্না বলেন, আমান ভাই বলছেন, যার যার এরিয়ায় যে পরবে সে যাকে নেতা বানাবে সেই হবেন। আমার এলাকায় এসে অন্যকেউ কমিটি বানাবে এইটাতো আমি মেনে নেব না। তার কথার বিপরিতে (ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক) আশফাক ভাই বলেন যে রাজপথে শুধু রক্ত দিলেই কি শেষ হয়? আশফাক ভাই ঠেস মেরে কথা বলাতেই হাতাহাতি হয়। দোষটা তারই বলে দাবি করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, মারামারি হয় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে। তারা দুই জনই কেরানীগঞ্জের নেতা।
অনুষ্ঠান চলাকালে মিলনায়নের ভিতর দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ছিল না। প্রচুর নেতা-কর্মী মিলনায়তনের ভিতর প্রবেশ করেছে। এসময় তারা মঞ্চের চার দিকে দিয়ে দাঁড়ানোয় মিলনায়তনের ভিতর প্রবেশ ও মঞ্চে বসা কাউকেই দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি সাংবাদিকদের জন্য বসার নির্ধারিত জায়গাও বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা দখল করে রাখে। ফলে উপস্থিত সাংবাদিকদের পিছিনে গিয়ে বসতে হয় এবং পেশাগত কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।