মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : এবার দক্ষিণ চীন সাগরে সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের সমর্থনে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই আলোচিত সপ্তম নৌবহর এবার দক্ষিণ চীন সাগরে পাঠালো তারা। মার্কিন নৌবাহিনী বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ছোট নৌবহর প্রেরণ করেছে। এ নৌবহরে বিমানবাহী রণতরী জন স্টেনিস, দুটি ডেস্ট্রয়ার, দুটি ক্রুইজার ও সপ্তম নৌবহর ফ্লাগশিপ রয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত নৌসীমায় গত ২৪ ঘণ্টা যাবৎ এই নৌবহর অবস্থান করছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীন নিয়ন্ত্রিত নৌসীমায় নৌবহর প্রেরণ করায় ওই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিমানবাহী রণতরী স্টেনিস জানুয়ারির ১৫ তারিখে ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো হয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনা গত কয়েকদিনে তীব্র রূপ ধারণ করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন নৌকমান্ডার অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস চীনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরকে সামরিকীকরণের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারাসেল দ্বীপে চীন ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। হ্যারি বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে চীন পরিষ্কারভাবে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এদিকে, সপ্তম নৌবহরের একজন মুখপাত্র দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবহর মোতায়েনের খবর নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের জাহাজ ও রণতরী কয়েক দশক থেকেই দক্ষিণ চীন সাগরসহ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌসীমায় নিয়মিত টহল দিয়ে আসছে। এটি নৌবাহিনীর রুটিন টহল। শুধুমাত্র ২০১৫ সালে মার্কিন নৌবহর দক্ষিণ চীন সাগরে ৭০০ সম্মিলিত দিন টহল দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে স্টেনিস ও সপ্তম নৌবহর ফ্লাগশিপ পাঠিয়ে চীন ও ওই অঞ্চলের প্রতি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ চীন সাগরের নৌসীমা নিয়ে ওই অঞ্চলের ৬টি দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। রীফ, কোরাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর স্পার্টলি দ্বীপে চীন স্থাপনা নির্মাণ করে তাদের দখল পাকাপোক্ত করতে চাইলে বিরোধীদের বাধার সম্মুখীন হয়। চীনের এই অপচেষ্টা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার তাদের সতর্ক করে দেয়। অবশ্য দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ১৯৭৪ সালে প্যারাসেল দ্বীপের মালিকানা নিয়ে দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও চীনের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছিল। সূত্র : ফক্স নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।