মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভোটের আগে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি জানিয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউজের ভাষ্য থেকে জানা যায়। তবে ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত করছিলেন বলেই জেমস কোমিকে বরখাস্ত হতে হল। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের শুনানিতে হিলারির ইমেইল নিয়ে কোমি পুরোপুরি সঠিক তথ্য দেননি- এমন তথ্য বেরিয়ে আসার পর হোয়াইট হাউজের এই পদক্ষেপ এল। কোমিকে লেখা এক চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আমিও একমত যে আপনি আর এফবিআইয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত নন। জেফ সেশনস বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস সর্বোচ্চ পর্যায়ের শৃঙ্খলা, সততা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ কারণেই ওই পদে নতুন মুখ প্রয়োজন। সেই নতুন মুখের খোঁজে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার কোমি যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে এফবিআই এজেন্টদের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখন একজন এসে তার হাতে একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে যান। সেখানেই জানানো হয়, তার আর চাকরি নেই। ওই নোট পড়ে ৫৬ বছর বয়সী কোমি হেসে ওঠেন, প্রথমে তিনি ওই চিরকুটকে রসিকতা ভেবেছিলেন। রয়টার্স জানিয়েছে, জেমস কোমি এফবিআইয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে। এফবিআই প্রধানরা সাধারণত ১০ বছরের জন্য দায়িত্ব পান। সেই হিসেবে তার মেয়াদ পূর্ণ হতে আরও ছয় বছর বাকি ছিল। কোমিকে এমন আকস্মিকভাবে বরখাস্ত করায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে হিলারির ইমেইল তদন্তের বিষয়টি নিয়ে তাকে বরখাস্ত করার যুক্তি অনেকের কাছেই বিস্ময়কর ঠেকেছে। কারণ, ট্রাম্পই তার নির্বাচনী প্রচারের শেষদিনগুলোতে কোমির ইমেইল তদন্তের বিষয়টি নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার মার্কিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোসেনস্টেইন বলেন, কোমি তদন্তের শেষ দিকে এসে যা করেছেন সেটি তিনি সমর্থন করেন না। কোমি যে ভুল করেছেন সে ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত পোষণ করবে বলে জানান রোসেনস্টেইন। বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই তদন্ত বন্ধ করার কথা বলে এবং হিলারি সম্পর্কে অযথাই মর্যাদাহানিকর তথ্য দিয়ে কোমি ভুলের পাল্লা ভারি করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে অফিসের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্ত করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোমি। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি তদন্তকাজের বিষয়টি নিয়ে দুবার দু’রকম ঘোষণা দেন। একবার জুলাইয়ে তিনি বলেন, বিচার ছাড়াই তদন্তকাজ বন্ধ করা উচিত। কিন্তু পরে নির্বাচনের মাত্র ১১ দিন আগে নতুন করে পাওয়া আরও কিছু ইমেইল নিয়ে আবার তদন্ত পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেন তিনি। তার এ ঘোষণার কারণে নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিলারির হেরে যাওয়ার পট প্রস্তুত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ডেমোক্র্যাটরা। হিলারি নিজেও তার হারের জন্য এফবিআই কে দুষেছেন। কোমি ৩ মে সিনেট বিচারবিভাগীয় কমিটিকে বলেছিলেন, হিলারির শীর্ষ সহযোগী হুমা আবেদিন শত শত, হাজার হাজার ইমেইল তার তৎকালীন স্বামী এন্থনি ওয়েইনারের কাছে ফরোয়ার্ড করে পাঠিয়েছিলেন। যেগুলোর কয়েকটিতে গোপন তথ্য ছিল। কিন্তু পরে এফবিআই কংগ্রেসে চিঠি পাঠিয়ে জানায় যে বিষয়টি নিয়ে কোমি সঠিক তথ্য দেননি। এফবিআই জানায়, ইমেইলের সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছিলেন কোমি। শত শত, হাজার হাজার নয় বরং অল্প সংখ্যক ইমেইলই ফরওয়ার্ড করা হয়েছিল ওয়েইনারের কাছে। এগুলোর কোনওটিতেই গোপন তথ্য ছিল বলে চিহ্নিত করা হয়নি। তবে পরবর্তীতে কয়েকটি ইমেইলের তথ্য গোপন বলে ধারণা করা হয়েছিল। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।