মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হওয়ার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারেন এমন সম্ভবনার প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিলারি ক্লিনটন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুপার টিউসডে’তে অনুষ্ঠিত প্রাইমারির ফলাফল একটি বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত করেছে যে, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর হিলারি ক্লিনটন মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। সুপার টিউসডের ফলাফলের পর গণমাধ্যমের শিরোনামে ক্লিনটনের নাম বড় করে আসা উচিত ছিল বলে অনেকেই মনে করছেন। কারণ তিনিই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে সম্ভাব্য প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। কিন্তু তা না হয়ে গণমাধ্যমে বিলিওনেয়ার ট্রাম্পকে নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে কট্টরপন্থি ও পক্ষপাতমূলক বক্তব্যের জন্য তিনি সমালোচিত এবং এ ধরনের বক্তব্য দিয়েই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নমধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ ও শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের মন জয় করেছেন। এভাবে ট্রাম্প এতদূর পর্যন্ত এসেছেন এবং ভবিষ্যতে রিপাবলিকান অন্য কোনো নেতা তাকে হারাতে পারবেন সেই সম্ভাবনাও কমে আসছে।
কিন্তু কট্টর উস্কানিদাতা মনোনয়ন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের সমর্থন নেই। এই দলের অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্পই যদি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েই যান তাহলে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তার বিজয় তখনই একরকম নিশ্চিত হয়ে যাবে। যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে না পারেন তবে তাহলে তিনি হিলারিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সহজ করে দেবেন বলে অধিকাংশ আমেরিকারন বিশ্বাস করে। অবশ্য এক্ষেত্রে ক্লিনটনকে যে-কোনো ধরনের কেলেংকারি থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং সাধারণ নাগরিকদের বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে, তিনি ওয়াশিংটনের অন্য সব মিলিওনেয়ার রাজনীতিবিদের মতো নন। অনেকে মনে করেন, ক্লিনটন বেশ নির্লিপ্ত স্বভাবের এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা বোঝার ক্ষমতা তার নেই। ক্লিনটনকে এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে হবে।
এখন থেকে যেহেতু ট্রাম্পের উপর আলোকপাত আগের চেয়ে আরেকটু বেশি হবে, তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আসলে কী কী করতে চান সেটি আরেকটু নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। কারণ জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নারীদের নিয়ে পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি বেশিদূর এগোতে পারবেন না। নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে হলে তাকে পরিবর্তিত হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে জেতার মূল হাতিয়ার রাজনীতি। অথচ ট্রাম্প রিপাবলিকান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে এখনও অনেক দূরে অবস্থান করছেন।
অন্য এক খবরে বলা হয, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাদ দিয়ে রিপাবলিকান দলের যে কোন প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভার্জিনিয়ার কংগ্রেসম্যান স্কট রাইজেল। এমন আবেদন জানিয়ে তিনি রিপাবলিকানদের প্রতি একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। এতে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গোঁয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়ার মতো যোগ্যতা তার নেই। ওই চিঠিতে এক স্থানে রাইজেল লিখেছেন, আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দলীয় মনোনয়ন পান তাহলে তাতে দলের যে ক্ষতি হবে তাকে বিপর্যয় ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। বিবিসি,এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।