পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : বোরো ক্ষেতে নেক বøাস্টের পর এবার কুড়িগ্রামে শিলা বৃষ্টিতে পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টির আঘাতে পাট ক্ষেতের সব পাট গাছের আগা ছিড়ে যাওয়ায় হাহাকার পড়েছে কৃষকের মাঝে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব ক্ষেত থেকে খড়ি ছাড়া আর কোন পাট পাওয়া যাবে না। এ পরিস্থিতিতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে পাট চাষী কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় ১৮ হাজার ৬শ’ হেক্ট্রর জমিতে পাটের আবাদ হলেও কি পরিমান জমির পাট শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সে হিসাব জানাতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা সদরের চর সুভারকুটি, চর কুড়িগ্রাম, আরাজি পলাশবাড়ী, খামার হলোখানা সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টিতে ধান পাটের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা জানায়, ধানের চেয়ে পাটের ক্ষতি বেশি হয়েছে। জেলা সদরের চর কুড়িগ্রাম এর কৃষক মাইদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালের শিলা-বৃষ্টিতে তার নিজেরসহ এলাকার সকল পাট গাছের আগা ছিড়ে গেছে। পাট গাছের আগা ছিড়ে গেলে সে ক্ষেত থেকে আর পাট পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় খুব দুঃচিন্তায় পড়েছি।
একই এলাকার খোরশেদ আলী ও তমিজ উদ্দিন জানান, কিছু ধান ক্ষেত নেক বøাস্টে নষ্ট হয়েছে। তবুও আশা ছিল পাট নিয়ে। সে পাট ক্ষেতও শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেল। এখন কি খেয়ে বাঁচবো।
এ ছাড়াও গত দু’ দিনে জেলার যে সব এলাকায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে ঐসব এলাকার পাট গাছের আগা ছিড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। এসব পাট ক্ষেতে খড়ি ছাড়া কোন ধরনের ফলন পাওয়া যাবে না।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মকবুল হোসেন শিলা বৃষ্টিতে পাটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, আগা ছিড়ে যাওয়া পাট গাছ থেকে কোন ফলন পাওয়া যাবে না এটা ঠিক কথা তবে ঐ সমস্ত ক্ষেতে অন্য কোন নতুন ফসল আবাদ করা যেতে পারে। প্রকৃত পক্ষে জেলায় কি পরিমাণ পাট ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব নিরুপনের কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
তবে কুষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্থ পাট ক্ষেতে নতুন করে অন্য কোন ফসল আবাদ করা তাদের জন্য দুরুহ ব্যাপার। এ অবস্থায় সরকারী সহায়তা কামনা করছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।