Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যেন আশির দশকের সেই উইন্ডিজ!

৮১ রানে অলআউট পাকিস্তান!

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : এ যেন আশির দশকের সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিংয়ে সেই শৌর্য-বীর্য। তাতে ছিন্নভিন্ন প্রতিপক্ষ ব্যাটিংলাইনআপ। গ্যাব্রিয়েল-হোল্ডার-জোসেপরা  স্বর্ণময় সেই দিনগুলোর কথাই মনে করিয়ে দিলেন ব্রাইটনে। তাদের বোলিং তোপে বড্ড অসহায় দেখালো পাকিস্তানকে। ৩৬ রানেই নেই ৭ উইকেট! ১৮৮ রানের সহজ লক্ষ্যটা তখন অলক্ষ্যের বাতিঘর। শুরু হয় গেল রেকর্ড বইয়ের পাতা উল্টানো। জানা গেল চার বছর আগে জেহানোসবার্গে ৪৯ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত যা টেস্টে তাদের সর্বনি¤œ ইনিংসের রেকর্ড। অষ্টম উইকেটে সরফরাজ আহমেদ ও মোহাম্মাদ আমিরের ৪২ রানের জুটিতে অবশ্য সেই লজ্জা এড়ানো গেলে বটে, কিন্তু হার এড়ানো গেল না। ৮১ রানে গুটিয়ে মিসবাহ-উল হকের দল হারল ১০৬ রানে। দুর্দান্ত জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা আনল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জোহানোসবার্গের সেই দুঃস্মৃতির দিনে ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ডেল স্টেইন। এবার ব্রাইটনে স্টেইনের ভুমিকায় শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ১১ রানে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। বাকি ৫ উইকেটও ভাগাভাগি করে নেন দুই পেসার জেসন হোল্ডার (৩/২৩) ও আলজারি জোসেপ (২/৪২)। দশ বছর পর টেস্টের পঞ্চম দিনে দশ উইকেটই দখলে নিলেন পেসাররা। তবে এটি গ্যাব্রিয়েলের সেরা বোলিং ফিগার হলেও দেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড জার্মেইন লসনের। ২০০২-০৩ মৌসুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় ৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন লসন।
২৭ থেকে ৩৬, এই ৯ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপরই আসে সরফরাজ-আমিরের সেই ৪২ রানের মান বাঁচানো জুটি। পাঁচজন ব্যাটসম্যান ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। তাদের মধ্যে আছেন বিদায়ী সিরিজ খেলতে নামা আধিনায়ক মিসবাহ-উল হকও (১৫ বলে ০)। শুরুটা হয়ছিল সপ্তম ওভারে দলীয় ১০ রানে আজহার আলীর মাধ্যমে। ৩৪.৪ ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন সরফরাজ (সর্বোচ্চ ২৩ রান)। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে এর চেয়ে কম রানে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে একবার, ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে লাহোরে, ৭৭ রানে। সব মিলে পাকিস্তানের এটি দশম সর্বনি¤œ ইনিংস।
অথচ দিনটা হতে পারত ইয়াসির শাহ’র। ৯৪ রানে ৭ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের ২৬৮ রানে গুটিয়ে দেন ডানহাতি লেগ স্পিনার একাই। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে তিনি আড়ালেই রয়ে গেলেন। হারা ম্যাচে যা কোন পাকিস্তানি বোলানের তৃতীয় সেরা বোলিং। মিসবাহ অবশ্য হারের জন্য প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংকেই দ্বায়ী করছেন, ‘প্রথম ইনিংসে যদি আমরা আরো বড় লিড নিতে পারতাম তাহলে সেটা পার্থক্য গড়ে দিত। শেষ দিনের সব কৃতিত্বই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের।’ বিজয়ী দলের সেনাপতি হোল্ডার এটিকে বলছেন, ‘দলীয় প্রচেষ্টার ফল’। গ্যাব্রিয়েলের পাশাপাশি শাই হোপের ৯০ রানকেও আলাদাভাবে মূল্যায়ন করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ