পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডে পাস হওয়া ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, অনৈতিকভাবে জেরুজালেম ও গাজা অধিগ্রহণ করে রেখেছে ইসরাইল। দেশটির বিরুদ্ধে জেরুজালেমের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ধ্বংসের অভিযোগও তুলেছে ইউনেস্কো। আন্তর্জাতিক আইনের জয় বলে উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। বিপরীতে ইসরাইল বলছে, এটি ইউনেস্কোর অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড। ইউনেস্কোর মুখপাত্র রনি আমেলান জানিয়েছেন, নির্বাহী বোর্ডে ওই প্রস্তাব পাসের পর এখন ওই সিদ্ধান্ত যাবে প্লেনারিতে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে। গত মঙ্গলবার ইউনেস্কোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আলজেরিয়া, মিসর, লেবানন, মরক্কো, ওমান, কাতার এবং সুদান সম্মিলিতভাবে প্রস্তাবটি তুলে ধরে। এতে বলা হয়, পবিত্র নগরী জেরুজালেমের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর স্বাতন্ত্র্য পরিবর্তনে বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক উদ্যোগ নিয়েছে ইসরাইল। ওই আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ২২টি দেশের সমর্থনে প্রস্তাবটি পাস হয়। এতে জেরুজালেমে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের দাবি খারিজ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি এবং বোর্ডের অপর সাত সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ওই প্রস্তাবে ইসরাইলকে দখলদার শক্তি উল্লেখ করে পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলের চালানো কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করা হয়। প্রস্তাবে জেরুজালেমের পুরনো শহরকে তিন একেশ্বরবাদী ধর্ম ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম এবং ইহুদি ধর্মের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। ইসরাইল ওই পবিত্র শহরের মর্যাদা ক্ষুণœ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। প্রস্তাবে অবরুদ্ধ গাজার জন্য ইসরাইলের সমালোচনাও করা হয়। প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালকি। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইসরাইলি অন্যায়, দখলদারি এবং অবৈধ নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ব ন্যায়ের পক্ষ নিলো। নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় দৃঢ় সংকল্পের কথাও জানিয়েছেন তিনি। রিয়াদ বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষের শোষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করব। আর এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণ দলখদারিত্ব মুক্ত নিজস্ব ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হবে। এ প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক আইনের জয় হয়েছে। তবে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওই প্রস্তাবের ফলে জেরুজালেমে তাদের কর্মকান্ডে কোনও পরিবর্তন আসবে না। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ইউনেস্কো ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ প্রদান করে। আর এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এ সংস্থাটিকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।