Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই গ্রুপের মারামারিতে পন্ড চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : দুই গ্রুপের মারামারিতে পন্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ। দলকে তৃণমূলে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির গতকাল (মঙ্গলবার) প্রথম দিনেই সমাবেশে লড়াইয়ে জড়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা। সমাবেশের প্রধান অতিথি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুই পক্ষের শ্লোগান পাল্টা শ্লোগানের মধ্যে ভাঙাচোরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে সমাবেশের ইতি টানেন। দুই পক্ষের মারামারিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে কর্মী সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা সমাবেশ স্থলে এসে মঞ্চ ও এর আশপাশের এলাকা দখলে নেয়। এরপর আসলাম চৌধুরীর (কারাবন্দি) অনুসারীরা সমাবেশ স্থলে এসে শ্লোগান দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় মঞ্চ ও সমাবেশ স্থলে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষ একে অপরের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। প্রায় ২০ মিনিট চলা মারামারিতে সমাবেশের জন্য আনা অসংখ্য চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়। মাইক ও মঞ্চও ভাঙচুর করা হয়।
দুই পক্ষের মধ্যে এ মারামারি চলাকালে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। অন্য সময় বিএনপি কর্মীদের দেখামাত্রই পুলিশ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেও দুই পক্ষের লড়াইয়ে নিরাপদ দূরে থেকে নিরব ছিল পুলিশ সদস্যরা। দুই পক্ষের মারামারি শেষদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা তৃণমূলে কর্মী সমাবেশ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অন্য নেতাদের নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। এ সময় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি ¯েøাগান দিতে থাকে। হৈ চৈ, সরগোল ও পাল্টা মিছিল ¯েøাগানের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তিনি।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ছাড়াও উত্তর জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরীর সাথে দ্ব›েদ্বর সূচনা হয়। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে উত্তর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে আসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৭৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সদস্য সচিব করা হয় গিয়াস কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আব্দুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীকে। আহ্বায়ক কমিটিতেও দুই পক্ষের বিরোধ অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে একটি মামলায় আসলাম চৌধুরী কারাগারে যান। এখনও জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যায়নি। এদিকে কর্মী সমাবেশ পন্ড করার জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।



 

Show all comments
  • S. Anwar ৩ মে, ২০১৭, ১২:২২ এএম says : 0
    সরকারী দলের গুলোতো হাড্ডির জন্য কামড়া-কামড়ি করে। এরা দেখছি হাড্ডি ছাড়াই কামড়া-কামড়ি শুরু করে দিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Azharul Islam ৩ মে, ২০১৭, ১১:৪৫ এএম says : 0
    দেশের কি অবস্তা তারা কি এসব না করে ভাই ভাই হয়ে চলতে পারেনা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ