পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য জেলার হাওর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ ও সংস্কারকাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ধীরগতির অভিযোগ ওঠায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে পাউবোকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন পাউবোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল, সিলেটে পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল হাই; সিলেটের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার ও সুনামগঞ্জের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দীন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে ওই অভিযোগকে গুরুতর উল্লেখ করে বলা হয়, তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিলেটের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামকে বরখাস্ত করে মৌলভীবাজারের তত্ত¡বাধায়ক প্রকৌশলী এস এম সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সিলেট অঞ্চলের ভার দেওয়া হয়েছে। বরখাস্তকৃত সিলেটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাইয়ের জায়গায় পাউবোর কুমিল্লার প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসাদ্দেক হোসেন নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে ওই অভিযোগে গত ৯ এপ্রিল গঠিত তদন্ত কমিটি সংশোধন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলী খানকে আহŸায়ক করে এই কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে যুগ্ম সচিব খলিলুর রহমান, পাউবোর চিফ মনিটরিং কাজী তোফায়েল হোসেন। সদস্যসচিব হিসেবে আছেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মন্টু বিশ্বাস।
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেক জায়গায় একটা ক্ষোভ আছে যে (হাওরের বাঁধ নির্মাণে) দুর্নীতি হয়েছে। পানি ঢোকা এবং দুর্নীতি দুটো আলাদা জিনিস। বাঁধ উপচে পানি ঢুকলেও কিন্তু দুর্নীতি হতে পারে। যেহেতু জনগণের মধ্যে (ক্ষোভ) আছে, আমরাও মনে করি স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া উচিৎ।
গত মাসের শেষ দিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা তলিয়ে যায়। দুর্বল ও অসমাপ্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবন ও ফসলহানির পেছনে বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকে দায়ী করে ঢাকায় মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশও হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।