Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনালী শীষে চিটা বগুড়ায় ব্রি-২৮ ধানে নেক ব্লাস্টের আক্রমণ

দিশেহারা কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : বগুড়ার শাজাহানপুরে বোরো ধানের সোনালী শীষে দেখা দিয়েছে চিটা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বীজে ত্রুটি থাকায় শুধু ব্রি-২৮ জাতের ধানেই ‘নেক ব্লাস্ট নামক সংক্রমকে আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে দানা হওয়ার ঠিক আগেই ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ মতো কীটনাশক স্প্রে করার পরও এই রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা না পাওয়ায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। এমন কি খরচের ভয়ে ধান কাটা, মাড়াইও করছেন না অনেক কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মধ্যে আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট গ্রামে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বেশি। ফুলকোট দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল বাছেদ নামের একজন কৃষক জানান, তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে দুই বিঘা জমিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কৃষি অফিসের পরামর্শে চারবার কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। তবুও এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাননি তিনি। গত বছর ওই তিন বিঘা জমি থেকে ১০০ মণ ধান পেয়ে ছিলেন। এবার বড়জোর ২০-২৫ মণ ধান পেতে পারেন। আক্রান্ত জমি থেকে তিনি বিঘা প্রতি তিন-চার মণ ধান পেতে পারেন। তাই খরচের ভয়ে ধান কাটছেন না।
আব্দুল বাছেদের মতো একই গ্রামের কৃষক আজিজুল হক, আব্দুল জলিল, ছায়েদ আলী, মোস্তাকিম, আবুল হোসেন, আব্দুল হাকিমসহ অনেক কৃষক এই নেক বøাস্টের শিকার হয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তা সোহেল মো. শামসুদ্দিন ফিরোজ জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভ্যাপসা গরম, প্রবল বর্ষণ, দিনে ও রাতে তাপমাত্রার তারতম্যেই এই রোগের প্রধান কারণ। এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কৃষকদেরকে আগে থেকেই সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এমনকি মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদেরকে ডুপার, নাতিভো কীটনাশক প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে। যারা আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করেনি তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় কৃষকদেরকে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই ধান কেটে নিতে বলা হয়েছে। নেক ব্লাস্টের আক্রমণে তেমন ক্ষতি হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, এবারের মৌসুমে ১৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে এবং প্রতি বিঘাতে ২২ মণ ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। সে দিক থেকে নেক ব্লাস্টের আক্রমণে এক-দুই শতাংশ উৎপাদন কম হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ