Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষ্য দেয়ায় সাক্ষীর বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : পিবিআইর নিকট চাঁদাবাজি মামলায় স্বাক্ষ্য দেয়ায় মোশাররফ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে আসামিরা। হুমকি দিয়েছে স্বাক্ষীর জবানবন্দী প্রত্যাহার না করলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের এলাকায় বসবাস করতে দেবে না। সুজন সুত্রধর নামে আরেকজন সাক্ষী একই মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর এটা দ্বিতীয় ঘটনা।
জানা গেছে, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান সুজিত সুত্রধর একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৪৭ (৬) ১৬। এই মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্তকালে সুজিত সুত্রধরের পুত্র সুজন সুত্রধর থানা পুলিশের নিকট প্রথম সাক্ষ্য প্রদান করে। এই ঘটনার কয়েকদিন পর বাদীর পুত্র সুজন সুত্রধর বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ব্যাপারে সুজিত সুত্রধর নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ডায়েরি নং ১৩৭২। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইর নিকট হস্তান্তর করা হয়। পিবিআইর তদন্ত চলাকালে বাদুয়ারচর কান্দাপাড়ার সাবেক ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম খানের পুত্র মোশারফ হোসেন পিবিআই পুলিশের ওসির নিকট সাক্ষ্য প্রদান করে। এই ঘটনার পর গত ২৪ এপ্রিল আলতাফ হোসেন, বদরুদ্দিন সরকার, তোফাজ্জল হোসেন মোনা, জালাল মিয়াসহ আরো দুই-তিনজন মোশারফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে সাক্ষীর জবানবন্দী প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে আসে। এ ব্যাপারে গত ২৫ এপ্রিল মোশারফ হোসেন নরসিংদী সদর মডেল থানায় আলতাফ হোসেন, বদরুদ্দিন সরকার, তোফাজ্জল হোসেন মোনাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উল্লিখিত লোকদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে মোশারফ হোসেনের বাড়ি গিয়ে হামলা চালায়। তারা মোশারফ হোসেনকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাড়িঘরে ভাঙচুর করে। দা দিয়ে কুপিয়ে লোহার গ্রিল, ঘরের টিন কেটে ফেলে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতার প্রমাণ পায়। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। মোশারফ ও তার পরিবারের সদস্যরা জান ও মালের নিরাপত্তা হারিয়ে সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদাবাজি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ