পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : কাশ্মীরের সবচেয়ে উত্তরের জেলা কুপওয়োরার নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে স্বধীনতাকামীদের হামলায় তিন সেনাসদস্যসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আহত সেনা সদস্যদের মধ্যে একজন অফিসারও রয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম জানায়। ভারতীয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়ো জানান, হামলার পরপরই পাল্টা হামলায় অন্তত দুজন স্বাধীনতাকামীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে সমগ্র এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। কাশ্মীরের যে এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে এবং সমগ্র এলাকাটিতে ব্যাপক সেনা উপস্থিতি রয়েছে। জেলার যেখানে ক্যাম্পটি রয়েছে সেটি আসলে গ্যারিসন টাউন বা সেনা ছাউনির শহর। প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল থেকে কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা চলছে। একটি সংসদীয় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ওই সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে অন্তত দশজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে সেনা অভিযানসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। অপর খবরে বলা হয়, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারসহ মোট ২২টি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। গত বুধবার এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, উপত্যকা সংক্রান্ত কোনো ছবি, মেসেজ, ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে কাশ্মীরে ছড়ানো যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। মাঝে কিছুদিনের জন্য আন্দোলন স্তিমিত হলেও, স¤প্রতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের অশান্তি মাথাচাড়া দেয়। স¤প্রতি কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের উপর ভারতীয় বাহিনীর অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর ফলে উপত্যকার পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কাশ্মীরে গত ১৭ এপ্রিল থেকেই থ্রি-জি ও ৪জি মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এমনকী ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও ২জি স্পিডে নামিয়ে আনা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কারণ হিসেবে বলা হয়, একটা মহল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের অপব্যবহার করছে। যার জেরে উপত্যকা অঞ্চলের শান্তি বিঘিœত হচ্ছে। বিবিসি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।