পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : অসময়ে বৃষ্টির কারনে ঠাকুরগাঁওয়ে তৈরি করা লাখ লাখ টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ইটভাটা মালিকরা চলতি বছরে চরম লোকসানে পরেছে। অন্যদিকে ইটের অভাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সরকারি ভবন নির্মাণের কাজ করা সম্ভব হবে না বলে জানান ইটভাটা মালিক সমিতি।
দৈনিক চাহিদা পুরনে ঠাকুরগাঁও জেলার মৌসুমি ইটভাটা মালিকরা বরাবরের মতো এবারো শ্রমিকদের দিন হাজিরা দিয়ে হাজার হাজার কাঁচা ইট তৈরি করে। সেই কাঁচা ইটগুলো চাহিদা অনুযায়ী সময়মত পুড়িয়ে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু এবছর অসময়ের বৃষ্টি ভাটা মালিকদের লোকসানের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রস্তুতি নেয়ার আগেই জেলার পীরগঞ্জ, হরিপুর, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদরসহ ৫টি উপজেলার ভাটায় তৈরি করা হাজার হাজার ইট বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। অসময়ে ঘণ ঘণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় লোকসানের বোঝা ভারি হয়ে যাওয়ায় অনেক মালিক ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলায় বেকার হয়ে পরেছে জেলার শত শত শ্রমিক। বৃষ্টি না হলে স্থানীয় এসব শ্রমিক আরো দুই মাস ইটভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো বর্তমানে অনেক শ্রমিক কাজের সন্ধানে ঘুরে ফিরছে। আবার কিছু ইটভাটা মালিক তাদের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পুনরায় ভাটা চালু করলেও বৃষ্টি যেনো তাদের পিছু ছাড়ছেই না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পরছে তারা। আর এ অবস্থায় ভাটা মালিকরা চলতি মৌসুমে কাঙ্খিত ইট পোড়াতে না পারায় জেলার ঠিকাদাররা প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজ (সরকারি ভবন) নির্মাণ করতে পারবেন না বলে আশংঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গেল বছরের তুলনায় এবছর শ্রমিক মুজুরি, মাটি, গাড়ি ভাড়া, ভ্যাট, ট্যাক্সসহ সব ধরনের জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন। তবে আগামীতে আকাশ ভাল থাকলে লোকসান কিছুটা কটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ইট ভাটার সাথে জড়িতরা।
সদর উপজেলার আঁকচা, সালন্দর, গড়েয়া ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ইটভাটা শ্রমিক রফিকুল ইসলাম, রশিদুল, জামাল উদ্দিনসহ অনেকে জানান, বৃস্টির কারণে ভাটা মালিকরা ইট তৈরি করতে না পারায় আমরা খুবই কষ্টে আছি। বৃষ্টি না হলে আমরা অন্তত আরো দুই মাস ইট ভাটায় কাজ করে খেতে পারতাম। এখন কাজের অভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হচ্ছে কোন দিন কাজ পাই আবার কোন দিন ফিরে আসতে হয়। মালিকদের কাছে অনেক শ্রমিক আগাম টাকা নিয়ে মাথায় বোঝা করে রেখেছে। এখন করুন অবস্থায় দিন পার করছি আমরা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কেয়া ব্রিকসের ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম ও সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকার এইচ বি ব্রিকসের ব্যবস্থাপক হেচাবউদ্দিন হেচা জানান, বৃষ্টির কারণে আমাদের তৈরি করা কয়েক লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার সাদেক কুরাইশী, এসএমএ মঈন জানান, আমরা ইটের অভাবে সময় মত কাজ করতে পারছি না। এছাড়া বেশি দামে ইট কিনতে হচ্ছে। অসময়ে বৃষ্টির কারণে মালিকরা নিয়মিতভাবে ইটভাটা চালু রাখতে পারছে না। অনেকে ইতোমধ্যে ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সময় মত ইট না পেয়ে আমরাও বিপাকে আছি। আগামীতে যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে ইটের অভাব বেড়ে যাবে। সেই সাথে চলতি বছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার ভবন নির্মাণ কাজ ব্যাহত হওয়ায় আশংকা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।