পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট : যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে হামলায় তার অস্ত্র ভান্ডারের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা মাদার অব অল বম্বস (মোয়াব) ব্যবহার করেছে, তখন রাশিয়া তার কাছে এর চেয়েও চারগুণ বেশি ধ্বংস ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা ফাদার অব অল বম্বস (ফোয়াব) থাকার দাবি করেছে। ১৩ এপ্রিল আফগানিস্তানের নানগারহারে আচিন জেলায় আইএসের ঘাঁটিতে নিক্ষিপ্ত এ বোমায় ৯৬ জন আইএস যোদ্ধা নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। ফোয়াব ২০০৭ সালে তৈরি করা হয়। এ বোমা এ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি। তবে তারপর রুশ কর্তৃপক্ষের দেয়া কিছু তথ্য অনুযায়ী থার্মোবারিক অস্ত্র ফোয়াব মার্কিন মোয়াবের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। রুশদের দাবি, ফোয়াবের ক্ষমতা মোয়াবের চারগুণ বেশি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটা বিশে^র সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী অ-পারমাণবিক অস্ত্র।
রুশ মিডিয়া বলেছে, ফোয়াব বিস্ফোরিত হলে তার বিস্ফোরণ ক্ষমতা হবে ৪৪ টন টিএনটির সমতুল্য। অন্যদিকে মার্কিন মোয়াব বা জিবিইউ-৪৩/বির বিস্ফোরণ ক্ষমতা হচ্ছে ১১ টন। এর বিস্ফোরণ এলাকার পরিমাণও দ্বিগুণ। অন্যদিকে ফোয়াব ওজনে মোয়াবের চেয়ে হালকা, সাত হাজার ১০০ কেজি।
থার্মোবারিক বোমা প্রচলিত গোলার চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপে বিস্ফোরিত হয়। তার অর্থ তা সুপারসনিক শকওয়েভের মাধ্যমে ক্ষতি সাধন করে এবং তার বিস্ফোরণ এলাকার মধ্যে থাকা জীবন্ত জিনিস কার্যকরভাবে বাষ্পে পরিণত করে। বিস্ফোরণ ও প্রেসার ওয়েভ একটি ছোট পারমাণবিক বিস্ফোরণের অনুরূপ।
বিশ্লেষক ও সিরিয়ায় সাবেক মার্কিন সামরিক এটাশে অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কর্নেল রিক ফ্রাংকোনা বলেন, আমাদের বিশ^াস যে এটা আসল। এ থার্মোবারিক বোমা নির্মাণে অগ্রণীদের মধ্যে রাশিয়া অন্যতম। তারা এটা তৈরি করতে সক্ষম। কারণ, সে প্রযুক্তি তাদের আছে। সিএনএন জানায়, সামরিক বিশ্লেষক ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের সাবেক সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সেডরিক লেইটন বলেন, ফোয়াব সম্পর্কে প্রকাশিত খবর যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা হবে বিশে^র সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমাণবিক বোমা। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে প্রথম মোয়াব পরীক্ষা করে। তারপর মস্কোও অনুরূপ অস্ত্র নির্মাণ শুরু করে। তাদের ভাÐারে কতগুলো এ বোমা আছে তা জানা যায়নি। তবে এ বোমার প্রযুক্তি ব্যয়বহুল ও তার রফতানি স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে রাশিয়া বেশি সংখ্যক বোমা নির্মাণ করেনি বলে মনে করা হয়। এ বোমা কখনো যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও এটাই মোয়াবের প্রথম ব্যবহার। এ বোমা ফেলা হয় আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের টানেলগুলোর এক নেটওয়ার্কের উপর যেগুলো আইএস কর্তৃক আফগান সরকারি বাহিনীর উপর হামলায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্যয়ের কারণে মোয়াবকে শে^তহস্তি বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ভান্ডারে বেশ কয়েকটি, কোনো কোনো সূত্রে ২০টি মোয়াব আছে, যা তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে আফগান কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে মোয়াব হামলার স্থলে যেতে দেয়নি। কোনো বেসামরিক প্রাণহানির কথা তাই তাদের জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।