Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মসজিদ লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ৩৮ নিরপরাধ সিরীয়কে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র

হিউম্যান রাইট ওয়াচ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদন

| প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ধর্মপ্রাণ সিরীয় মুসলিমদের নিত্যদিনের মসজিদে যাতায়াত। এমনই এক মসজিদে গত মার্চে মার্কিন বিমান হামলার কবলে পড়লে অন্তত ৩৮ বেসামরিক সিরীয় প্রাণ হারান। মসজিদকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। তাদের দাবি, মসজিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল মার্কিন বাহিনী। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুই তদন্তের ফলাফল এই দাবিকে অগ্রাহ্য করছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আল কায়েদার সদস্য ভেবেছিল মার্কিন বাহিনী। তাই হামলার নিশানা বানানো হয়েছিল মসজিদটিকে। সিরিয়ার আল-জিনাহ গ্রামের ওই মসজিদটি মার্কিন বিমান হামলার শিকার হয় চলতি বছরের মার্চে। এরপর মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক হত্যার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ অস্বীকার করেন পেন্টাগনের মুখপাত্র নেভি ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস। তার দাবি, মসজিদ তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই হামলায় বেশ কয়েকজন আল-কায়েদা নেতা নিহত হয়েছিলেন। এইচআরডবিøউ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় দুটি ড্রোন এবং চারটি মিসাইল হামলা চালানো হয়। দুইটি তদন্ত প্রতিবেদনেই বেসামরিক জীবন নিয়ে মার্কিন বাহিনীর নিস্পৃহতা ও অজ্ঞতার আলামত মিলেছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার কারণেই ওই ৩৮টি জীবন ঝরে পড়েছে বলে উঠে এসেছে ওই দুই তদন্তে। পেন্টাগন মুখপাত্র ডেভিসের দাবি, মসজিদে হামলা তাদের ভুল ছিল। তিনি সাংবাদিকদের হামলার একটি ছবি দেখান। ছবিতে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত এক দালান দেখিয়ে দিয়ে বলেন, এটা মসজিদটির বাম পাশ। ডেভিস দাবি করেন, বিমান হামলার সময় তারা ওই দালানটির অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। তবে চলতি সপ্তাহে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডবিøউ। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে সংস্থাটি জানায়, হামলার সময় সেখানে ৩০০ মুসল্লি নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিল। রিপার ড্রোন থেকে নতুন তৈরি মসজিদ ইবন আল খাতাবকে লক্ষ্য করে হেলফায়ার মিসাইল হামলা চালানো হয়। হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হন। এদিকে মসজিদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে বলে আভাস দিয়েছে এইচআরডবিøউ। এইচআরডবিøউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেন্টাগন কর্তৃপক্ষ হামলা করা মসজিদটি চিনতে ভুল করার পাশাপাশি সেখানে বসবাস করা বেসামরিকদের ভুল করে জঙ্গি ভেবেছে।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত দালানে আজানের জন্য মাইক ছিল, মক্কার দিকে দিক নির্দেশনা ছিল। অর্থাৎ খুব স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল সেটা মসজিদ। সুতরাং তা শনাক্ত করতে না পারাটা অস্বাভাবিক। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদন স্পষ্ট করে দেয়, নির্মাণশৈলীর কারণে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে সেটা মসজিদ। হামলার পরপরই দুটো বোমার বিস্ফোরণে মসজিদের উত্তর অংশটি উড়ে যায়। পালানোর জন্য মসজিদের দক্ষিণাংশের ধ্বংসাবশেষ বেয়ে উঠতে থাকে মুসল্লিরা। তারা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও হামলা চালানো হয়। ফরেনসিক আর্কিটেকচারারের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ক্রিস কব স্মিথ জানান, মিসাইলগুলো সম্ভবত হেলফায়ার মিসাইল। ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • MD Elias ২৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৫৩ পিএম says : 0
    avabe ar koto lok morle musolmanra jege uthbe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ