পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্ধারিত ইউরোপ সফরের সময় সউদি আরব সফরে যেতে পারেন। এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইউরোপ যাবার কথা। ব্রাসেলসে মে মাসের ২৫ তারিখে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিসিলিতে অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক জোট গ্রুপ-৭ এর শীর্ষ বৈঠকে যোগও দেবেন তিনি। এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬-২৮ মে। উপরন্তু, পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ট্রাম্প ভ্যাটিকানেও যেতে পারেন ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশ সফর।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস সউদি আরব সফরে রয়েছেন। সেখানে অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সউদি কর্তৃপক্ষের সাথে তার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের বিষয় নিয়েও কথা হবে। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে ম্যাট্টিস বলেছেন যে তার এই সফর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সউদি সফরের পথ সুগম করবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি গত বুধবার সউদি আরবে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রনীতিতে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু এবং জিহাদি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে অধিক গুরুত্বের সঙ্গে প্রাধান্য দিয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য মার্কিন নৌবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে দামেস্কর বাশার সরকারের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এর আগে গত মাসে সউদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেছেন। তার এই যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠককে যুক্তরাষ্ট্র ও সউদি আরবে মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়া সম্পর্ক পুনরায় জোরদার করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অবদান রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওবামা প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে রিয়াদের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে চিড় ধরে। ২০১৫ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সউদি কর্তৃপক্ষ মনে করে, ওবামা প্রশাসন রিয়াদের সাথে ওয়াশিংটনের বহুদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ধরে রাখার চেয়ে ইরানের সাথে বিতর্কিত চুক্তি সম্পাদনকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। অপর খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস সউদি আরবের সাথে সম্পর্ক জোরদার এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সউদি সফরের পথ প্রশস্ত করার মিশন নিয়ে বর্তমানে রিয়াদে অবস্থান করছেন। রিয়াদে সউদি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সউদি আরবকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায়। উভয় দেশের অভিন্ন বৈরি দেশ ইরানের ব্যাপারে তিনি রিয়াদের পাশে থাকার ইঙ্গিত দেন। ম্যাট্টিস বলেন, সামরিক এবং গোয়েন্দা কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সউদি আরব গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সউদি ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করেছেন। ম্যাট্টিস ইরান ইস্যুতে সহায়তার ইঙ্গিত দিলেও সউদি আরবের নেতৃত্বে পরিচালিত জোটের ইয়েমেন হামলায় যুক্তরাষ্ট্র তার সহায়তা আরো বাড়াবে কিনা সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। ইয়েমেনে জোট বাহিনী ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, মার্কিন ম্যারিন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চার তারকা জেনারেল জেমস ম্যাট্টিস মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠকে আগে রাজধানী রিয়াদের আল ইয়ামামা রাজপ্রাসাদে বাদশা সালমানের সাথে দেখা করেন। সউদি সফরের জন্য আগের দিন মঙ্গলবার তিনি রিয়াদ পৌঁছেন। সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর, আশার্ক আলাওসাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।