বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাইদুর রহমান মাগুরা থেকে : মাগুরা জেলার ৬টি নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র প্রাকৃতিক ভারসাম্য পরিবেশের মারাত্মক হুমকিসহ সেচ কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। ভারতের উজান থেকে পানি প্রবাহ ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করায় মাগুরা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ৬টি নদী শুকিয়ে গেছে। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ট্রাষ্ট ফান্ড প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয় সে ফাইল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এর খবর কেউ বলতে পারেনা। অথচ প্রকল্প গ্রহণ না করায় নদীগুলো দিনদিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের কারণে পলি পড়ে নদীগুলো ভরাট হয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। নাব্যতা হারানোর কারণে নদীবক্ষে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে জেগে উঠেছে চর। জেলার ৪ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা, কুমার, ফটকি, চিত্রা, গড়াই ও মধুমতি। গুরুত্বপূর্ণ এ নদীগুলোর সাথে জেলার ৪টি উপজেলার ৮ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়া এসব নদী সংলগ্ন পাশ্ববর্তী খালের মাধ্যমে ৩০ হাজার হেক্টর জমির সেচ কার্যক্রম নির্ভরশীল। নদীগুলোর পানি প্রবাহ কমে সর্বনি¤œ পর্যায়ে আসায় অনেক এলাকায় সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা। ফলে নদীগুলো হারিয়ে ফেলছে বাণিজ্যিকসহ সকল গুরুত্ব। গড়াই মধুমতি নদী দুটির বক্ষে বিশাল চর পড়ায় মাগুরা জেলার শ্রীপুর মাগুরা সদর ও মহম্মাদপুর উপজেলাসহ পার্শবর্তী রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার মানুষের জীবনযাত্রা চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এদিকে চিত্রা নদীটি জেলার শালিখা উপজেলা ও যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার মধ্যদিয়ে নড়াইলে গিয়েছে। জেলার সংযোগ রক্ষাকারী এই নদী বর্তমানে পুরোটাই মরে গে্েছ। জেলার অপর নদী কুমারের বুক জুড়ে মাইলের পর মাইল চর জেগে উঠেছে। এক সময়ের খর¯্রােতা এ নদী বর্তমানে পানিশূন্য জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। নদীপ্রাপ্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। তাছাড়া নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা না থাকায় নদীর পানি উপচে একদিকে বন্যা অপরদিকে নদী ভাঙ্গনে জনজীবনে নেমে আসে ভয়াবহ দূর্যোগ। সাথে সাথে বন্যায় ফসল ঘরবাড়ি বৃক্ষ সম্পদসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত ৬টি নদীর মধ্যে গড়াই নদীর ৩০ কিলোমিটার এলাকা খননের কাজ চলছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় ৯৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়া জেলার তালবাড়িয়া থেকে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে মধুমতি নদীর সংযোগ স্থল পর্যন্ত খনন কাজ চলছে।কিন্তু এ প্রকল্পের বর্তমান কি অবস্থা তা মাগুরা পানি উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী প্রকৌশলী দিতে পারেন নি। তবে তিনি বলেন, নদী খননের কয়েকটি প্রকল্প উচ্চ পর্যায়ে পাঠান হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন হয়ে আসলে সমস্যার কিছুটা উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। খনন কাজ সম্পন্ন হলে গড়াই নদী কিছুটা হলেও প্রান ফিরে পেত বলে অনেকের ধারণা। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য নদীগুলোর পাড় ও নদী সংলগ্ন খাল বিল সংস্কার ও জলবদ্ধতা থেকে এলাকার মানুষকের্ ক্ষার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ড প্রকল্পের আওতায় ৮১ কোটি ২ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বর্তমান অবস্থা কি তা জানেন না মাগুরা পানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ। মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য নদীগুলোর খনন ও সংস্ক্ার জরুরী বলে এলাকাবাসী মনে করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।