Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী নির্বাচনে জিতলে ’২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন এরদোগান

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সমর্থন দিয়েছে। গত রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে ৫১%-এর কিছু বেশি ভোট পেয়ে সীমিত ব্যবধানের জয় পায় এরদোগানের হ্যাঁ-ভোটের প্রচারণা। ফলে সাংবিধানিক সংস্কারে তার সামনে আর কোন বাধা থাকল না। এই জয়ের ফলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আরো অন্তত এক যুগ ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত হল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সমর্থন দিয়েছে। এই সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে তুরস্ক পার্লামেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে। বলা হচ্ছে, নতুন যে সংবিধান আসতে যাচ্ছে তাতে প্রেসিডেন্ট সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এই সংবিধানের খসড়া অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। প্রতি মেয়াদে পাঁচ বছর করে অন্তত দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। ফলে নির্বাচনে জিতলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন এরদোগান। মন্ত্রীসহ সকল শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট এরদোগান সরাসরি নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন। কয়েকজন ভাইস-প্রেসিডেন্টও মনোনীত করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বলে কিছু থাকবে না দেশটিতে। বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন বিনালি ইলদিরিম। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতাও থাকবে প্রেসিডেন্টের। জরুরি অবস্থা জারি করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট। এরদোগানের সমর্থকেরা বলছেন, পার্লামেন্টারি ব্যবস্থার পরিবর্তে নির্বাহী প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থার প্রচলন তুরস্ককে আধুনিক করবে। দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবার পর ২০১৪ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হন এরদোগান। এটা হওয়ার কথা ছিল কার্যত একটি আনুষ্ঠানিক পদ। কিন্তু আধুনিক তুরস্কের রূপকার কামাল আতাতুর্কের পর তুর্কীদের উপর সবচাইতে দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যাপক প্রভাব সম্পন্ন নেতা এরদোগান প্রভাব প্রতিপত্তি তাতে কিছু হ্রাস পায়নি। গত বছর জুলাই মাসে এরদোগানের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটে, যার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপর তুরস্কের অন্তত এক লাখ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা চাকরি হয়েছেন, জেল খেটেছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই থেকে তুরস্কে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গতকাল দেশটিতে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে ৫১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়ে সীমিত ব্যবধানের জয় পায় এরদোয়ানের ‘ইয়েস’ প্রচারণা। ফলে সাংবিধানিক সংস্কারে তার সামনে আর কোন বাধা থাকল না। এই জয়ের ফলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আরো অন্তত এক যুগ ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত হল।
দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী শক্তি এবং ইউরোপের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর চরম বিরোধিতা সত্তে¡ও সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে তুর্কি জনগণ। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ