মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর হাতে নিহত ওসামা বিন লাদেনের হাতে লেখা একটি উইল প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন, যাতে দেখা যায় মৃত্যুর সময় প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ সম্পত্তি রেখে গেছেন আল কায়েদার এই শীর্ষ নেতা। ওসামা বিন লাদেন ওই উইলে আশা করেছেন, তার পরিবার তার ইচ্ছার মূল্য দেবে, তার রেখে যাওয়া সম্পদ ব্যয় করবে জিহাদের জন্য। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের আস্তানায় অভিযানের সময় অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে এই উইলটি পায় নেভি সিলের সদস্যরা। আরবিতে লেখা ওই উইলের একটি তর্জমাসহ বেশকিছু নথি গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অফিস (ওডিএসআই) থেকে প্রকাশ করা হয় বলে সিএনএন-এর খবর। উইলে ওসামা বিন লাদেন বলে গেছেন, তার সম্পদ রাখা আছে সুদানে। কিন্তু সেগুলো নগদ টাকায়, না অন্য কোনো সম্পদের আকারে- আছে তা স্পষ্ট নয়। ওই টাকার কোনো অংশ উত্তরাধীকারীদের হাতে পৌঁছেছে কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে সুদান সরকারের অতিথি হিসেবে বছর পাঁচেক খার্তুমে কাটিয়েছিলেন আল কায়েদার এই নেতা। তার উইলে লেখা হয়েছে, আশা করি আমার ভাই, বোন ও খালারা আমার ইচ্ছা পূরণ করবেন এবং সুদানে যে অর্থ আমার আছে তা জিহাদের জন্য আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন। মোট টাকার ১ শতাংশ আল-কায়েদার তাত্ত্বিক শেখ আবু হাফস আল মওরিতানি ওরফে মাহফুজ অলুদ আল-ওয়ালিদকে দিতে বলে গেলেন বিন লাদেন। আর ভাই আবু ইব্রাহিম আল-ইরাকি সাদকে (জওহর) ওয়াদি আল-আকিক কোম্পানিতে কঠোর পরিশ্রমের জন্য ১ শতাংশ দেয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া নিজের ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী এবং নিকট আত্মীয়দের জন্যও সম্পত্তির কিছু অংশ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন বিন লাদেন। ওই উইলের সঙ্গে বিন লাদেনের লেখা কয়েকটি চিঠিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এসব নথিতে দেখা যায়, মানবজাতিকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হতে বলেছিলেন আল কায়েদা নেতা। তার আশঙ্কা ছিল, তার স্ত্রীর দাঁতে ডেন্টিস্টরা হয়তো ট্র্যাকিং ডিভাইস বসিয়ে দিয়েছেন। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।