মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে ইশরাত জাহান ঘটনায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত দাবী করেছে বিজেপি। বিজেপি বলছে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে ইশরাত মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছিল। তাদের নির্দেশেই চিদম্বরম ইশরাত মামলায় হলফনামা বদল করেছিলেন।
২০০৪ সালের ১৫ জুন গুজরাট পুলিশের গুলিতে নিহত মহারাষ্ট্রের তরুণী ইশরাত জাহান ও তার তিন সঙ্গী জঙ্গি ছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ভুয়া সংঘর্ষ বাধিয়ে তাদের খুন করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলির সাক্ষ্যে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়। আমেরিকা থেকে ভিডিও সাক্ষ্যে হেডলি জানায়, ইশরাত লস্কর-ই-তাইয়্যেবার সদস্য ছিলেন। হেডলির সাক্ষ্যের পর কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে ইশরাত ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন আমলারা। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাই দাবি করেন, সুপ্রিমকোর্টে ইশরাতের ব্যাপারে অবস্থান বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পি চিদম্বরম নিজে। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে তার কোনও ভূমিকা ছিল না। ইশরাত মামলায় সুপ্রিমকোর্টে দু’টি হলফনামা জমা দেয় ইউপিএ সরকার। প্রথম হলফনামায় বলা হয়, ইশরাতরা যে লস্করের সদস্য, সে কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)। কিন্তু দ্বিতীয় হলফনামায় কেন্দ্র জানায়, ইশরাতরা লস্করের সদস্য কিনা তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। পিল্লাইয়ের দাবি, তাকে অন্ধকারে রেখে আইবির এক জুনিয়র অফিসারকে দিয়ে দ্বিতীয় হলফনামাটি লিখিয়েছিলেন চিদম্বরম।
এ বিষয়ে সম্প্রতি আবার মুখ খুলেছেন দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রাক্তন উপসচিব আর ভি এস মণি। তার দাবি, কার্যত চাপে পড়েই ওই দ্বিতীয় হলফনামায় স্বাক্ষর করতে হয়েছিল তাকে। মণি আরও দাবি করেন, ইশরাত ঘটনায় অবস্থান বদলের জন্য তাকে বার বার চাপ দেয়া হয়েছে। এমনকি বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান সতীশ বর্মা তাকে সিগারেটের ছেঁকাও দিয়েছিলেন। প্রত্যাশিতভাবেই সরাসরি রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, কংগ্রেস হাইকম্যান্ডই ইশরাত মামলায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হলেই সব কথা জানা যাবে।
এদিকে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অবিচলিতই আছেন চিদম্বরম। তার বক্তব্য, ইশরাত মামলায় দ্বিতীয় হলফনামার বক্তব্য একেবারেই ঠিক। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি পুরো বিষয়ের দায়িত্ব নিচ্ছি। তার কথায়, পিল্লাই পুরোদস্তুর এই সিদ্ধান্তের অংশীদার ছিলেন। এখন তিনি যে ভাবে দায়িত্ব এড়াচ্ছেন, তাতে আমি বিস্মিত। পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।