Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিশৃঙ্খল পরিবহন সেক্টর

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সিটিং গেইট লক বন্ধ হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি : কৃত্রিম সঙ্কটে যাত্রীদের ভোগান্তি :  শৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত অভিযান চলবে : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী


নূরুল ইসলাম : নগরীতে সিটিং ও গেইটলক সার্ভিস বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ভাড়া আদায় করা হচ্ছে আগের মতোই। ঠাঁসাঠাঁসি করে বাসে উঠিয়ে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া দাবি করায় যাত্রীদের সাথে বাসের কন্ডাক্টরের বাকবিতন্ডা হয়েছে। এর মধ্যে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হওয়ায় হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে বাস ও মিনিবাস। তাতে পরিবহন যান সঙ্কটে যাত্রীদের হয়রানি বেড়েছে। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সিটিং ও গেটলক সার্ভিস তুলে দিতে গিয়ে গতকাল রোববার প্রথম দিন চরম বিশৃঙ্খলায় কেটেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত বিআরটিএ’র অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভুক্তভোগীদের মতে, অস্বাভাবিক গলাকাটা ভাড়া আদায়ের ফাঁদ হিসেবে নগরীতে সিটিং সার্ভিস, গেইটলক সার্ভিস, সময় নিয়ন্ত্রণ, কম স্টপেজ সার্ভিস, স্পেশাল সার্ভিস ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে আসছিল পরিবহন মালিকরা। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছিল। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, কথিত এই সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠিক আগের মত বহাল থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।  
ঢাকার নগর পরিবহনে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা বহু দিন ধরেই বিরাজমান। বিরতিহীন ও সিটিং সার্ভিসের নামে প্রতারণা ছাড়াও  লক্কড় ঝক্কড় মার্কা বাস, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত আসন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা না থাকাসহ ভাড়ার অনিয়ম যেনো নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশের সব সেক্টরে উন্নতি হলেও নগর পরিবহনে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। প্রভাবশালীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পরিবহন সেক্টরের অনিয়ম দেখার মতো যেনো কেউ নেই। শৃঙ্খলা তো দূরে থাক, দুই বছর যাবত সরকার নির্ধারিত ভাড়াই কার্যকর করা যায় নি। বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফাঁদ ছিল সিটিং ও গেইটলক সার্ভিস। এসব সার্ভিসের আড়ালে দুই/তিন গুন ভাড়া আদায় করা হতো। মালিকপক্ষ ১৬ এপ্রিল থেকে এই সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয়। কিন্তু গতকাল প্রথম দিনে সিটিং সার্ভিস বন্ধ নিয়েই তৈরী করা হয়েছে বিশৃঙ্খলা। গেইট লক ও সিটিং সার্ভিস বন্ধের প্রথম দিনে গতকাল সকাল থেকে নগরীতে বাস চলাচল করেছে খুবই কম। সকালে অফিসগামী যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে সিএনজি অটোরিকশা বা রিকশাযোগে রওনা করতে বাধ্য হয়েছেন। হারুন নামে মিরপুরের এক যাত্রী জানান, সকালে মিরপুর ১০নং সেক্টরে শত শত যাত্রী অপেক্ষা করেও বাসের দেখা পায় নি। অনেকেরই জানা ছিল না গেইটলক বা সিটিং সার্ভিস বন্ধের কথা। তারা প্রথমে সিটিং সার্ভিসের জন্য অপেক্ষা করে পরে সাধারণ বাসও পাননি। বাধ্য হয়ে অনেকে রিকশা বা অটোরিকশাযোগে রওনা করেছে। মানিক নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি নিয়মিত টঙ্গি থেকে গুলিস্তান অথবা শাহবাগ আসেন। গতকালও এসেছেন। তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও ভাড়া নেয়া হয়েছে আগের মতোই। এ নিয়ে বাসের কন্ডাক্টরের সাথে যাত্রীদের বাক-বিতন্ডাও হয়েছে। আবার বাসের সংখ্যা হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় যাত্রীদের পরিবহন যান সঙ্কটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
মিরপুর থেকে মতিঝিল রুটে চলাচলকারী  মাহবুব নামে এক যাত্রী জানান, মিরপুর ১০ বাসস্ট্যান্ড হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন জাবালে নূর, প্রজাপতি, আকিক, তেঁতুলিয়াসহ অসংখ্য বাস চলাচল করলেও আজ (গতকাল) সেগুলো একদমই চোখে পড়েনি। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলাচল করেছে যেগুলোতে ওঠার মতো অবস্থা ছিল না। বিশেষ করে ভিড়ের চোটে মহিলা যাত্রীরা ছিল একেবারে অসহায়। বাসগুলোতে আগের সিটিং ভাড়াই আদায় করা হয়েছে জানিয়ে হুমায়ুন নামে এক যাত্রী বলেন, কন্ডাক্টরের যুক্তি ছিল বাস ভাড়া কমানোর কোনো ঘোষণা তারা পায়নি। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে তারা কেনো বেশি আদায় করছে এ প্রশ্ন নিয়ে বাসের ভিতরে হট্টগোল লেগেই ছিল। লিমন নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিমানবন্দর থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত আগে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া ছিল ৮ টাকা। গতকাল রোববার ‘সিটিং সার্ভিস’ ও ‘ গেইট লক সার্ভিস’ বন্ধ  হওয়ার পর নেওয়া হয়েছে ১০ টাকা করে। ওই যাত্রী জানান, নদ্দা থেকে পল্টন পর্যন্ত ভাড়া ১৫ টাকা হলেও আদায় করা হয়েছে ২৫ টাকা। রাজধানীর অন্যান্য রুটেও একইভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার এই খড়গ বহুদিন ধরেই তাদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল সিটিং সার্ভিস বন্ধের উসিলায় বাস ও মিনিবাস রাস্তায় না নেমে একটা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে দেয়া হয়।
বাস ভাড়া নির্ধারণ ও কার্যকরের ক্ষেত্রে অনিয়মের গোড়ায় রয়েছে কিছু কারণ। নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ বাসই আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। কমিটি দুই মাসে কমপক্ষে একটি সভা করার নিয়ম থাকলেও মালিক শ্রমিকের অনিচ্ছায় ৬ মাসেও কমিটি সভা হয় না। এতে করে সমস্যা দিন দিন বাড়লেও সমাধানের কোনো পথ খোঁজা হয় না। এতে করে যাত্রীদের স্বার্থ থাকে অবহেলিত। জানা গেছে, নগরীতে চলাচলকারী বাসগুলোতে ৩৭ টি আসনের অনুমোদন দেয়া হয়। এর বেশি আসন থাকলে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার নিয়ম নেই। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী নিজে বহুবার বেশি আসনের বাস ধরেছেন। বিআরটিএকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তারপরেও নগরীতে চলাচলকারী ৯৮ ভাগ বাসই ৪১ আসনের। পরিবহন মালিকরা জানান, মাঝে মধ্যে বিআরটিএ এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে নিজেদের স্বার্থে। কড়াকড়ি করে ঘুষের পরিমাণ বাড়ায়। কিন্তু ৪১ আসনের বাসে ফিটনেস বন্ধ হয় না। ৩৭ এর স্থলে ৪১ আসনবিশিষ্ট বাসে যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারেনা। কখনও কখনও সামনের আসনের সাথে পা লেগে যায়। তখন বাঁকা হয়ে বসতে হয়। অতিরিক্ত আসনের কারণে বেশিরভাগ বাসে উঠতে এবং নামতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এছাড়া মহিলা যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা বাধ্যতামূলক হলেও অধিকাংশ বাসেই তা নেই। এতে করে নারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আলাপকালে যাত্রীরা জানান, নগরীতে শুধুমাত্র বাসে চলাচল করার মতো নিশ্চয়তা কখনও থাকে না। সরকারী ছুটি ছাড়া অধিকাংশ কার্যদিবসে পিক আওয়ারে সময়মতো বাস পাওয়া যায় না। এটা নিত্যদিনের সমস্যা। অফিস ধরতে গিয়ে তখন বাধ্য হয়ে অটোরিকশা বা রিকশা ভাড়া করা ছাড়া উপায় থাকে না। এর কারণ রুটভিত্তিক গাড়ির সংখ্যা বিন্যাস ঠিক নেই। যে রুটে বেশি বাস দরকার সেই রুটে বাস কম। আবার যে রুটে যানজট কম বা লাভ বেশি সেই রুটে যাত্রীর তুলনায় বাস অনেক বেশি। পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, তারা ইচ্ছা করলেই রুটভিত্তিক বাস নামাতে বা বাড়াতে পারেন না। এতে প্রধান বাধা মালিক সমিতি। মালিক সমিতির অনুমোদন ছাড়া কোনো রুটেই বাস নামানো যায় না। কয়েকজন মালিক অভিযোগ করে বলেন, মালিক সমিতির নেতারা লাভজনক রুটগুলো দখল করে আছেন। সে কারণে তাদের লোকসান গুনতে হয় না।
এসবের বাইরে ভাড়া নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি লেগেই আছে। গত বছর বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণ হওয়ার পর প্রথম দিকে ভাড়া নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এখন তা না থাকলেও শুভঙ্করের ফাঁকি আছেই। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, বিগত ২৬ বছরে ৩ দফা জ্বালানী তেলের দাম কমার পর দেশের পরিবহন সেক্টরে ভাড়া কাগজে কলমে কমানো হলেও বাস্তবে কমেনি। ২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর ৫৫ টাকার ডিজেল ৭ টাকা কমে ৪৮ টাকা হলে পরিবহন ভাড়া যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ০৭ পয়সা কমানো হয়। ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারী  ৪৮ টাকার ডিজেলের মূল্য কমে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করায় যাত্রী প্রতি বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ০৪ পয়সা কমানো হয়। এরপর পরিবহন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পরিবহন সেক্টর শিল্প খাত ঘোষণা ও জ্বালানীর মূল্য ৪৪ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাস ভাড়া যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ০৫ পয়সা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে  কাগজে কলমে ভাড়া কমানো হলেও প্রকৃতপক্ষে কোন বাস-মিনিবাস ভাড়া কমে নি। সরকার জনস্বার্থে জ্বালানীর মূল্য কমালেও গুটি কয়েক পরিবহন মালিক এই সুবিধা ভোগ করছে। দেশের যাত্রী সাধারণসহ আপামর জনগণ এর সুফল থেকে বার বার বঞ্চিত হয়েছে। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে মেট্রোতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়। বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়। মিনি বাসের ভাড়াও ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়। ঢাকাসহ মেট্রো শহরে এই ভাড়া কার্যকরের কথা বলা হলেও বাস্তবতার সাথে এর আকাশ-পাতাল ফারাক এখনও বিদ্যমান। যেমন মোহাম্মদপুর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এলে মিনিবাসের ভাড়া রাখা হয় ১০ টাকা। কিন্তু শাহবাগের পর যে কোনো স্থানে নামলে এই ভাড়া ১৫ টাকা হয়। মোহাম্মদপুর থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত কোনো কোনো বাসের ভাড়া ১৫ টাকা। ওই বাসেই আবার মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা। কিলোমিটারের হিসাবে যা একেবারে বেমানান।
এসব অনিয়ম ছাড়াও রাজধানীর রাস্তার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মুলে হলো সিটি সার্ভিস বাসগুলো। রাজধানীতে ভয়াবহ যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ বাস ও মিনিবাস। রাজধানীর এমন কোনো স্থান নেই যেখানে বাস দাঁড়ানো থাকে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রাবাড়ী থেকে রায়েরবাগ, কমলাপুর থেকে শাজাহানপুর, মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে দিলকুশা, মহাখালী থেকে নাবিস্কো, কল্যাণপুর থেকে গাবতলী, মোহাম্মদপুর সাতরাস্তা থেকে ধানমন্ডি, আদাবর থেকে শ্যামলী, রামপুরা ব্রীজ থেকে বনশ্রী পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দিন রাতে সব সময় বাস ও মিনিবাস দাঁড় করানো থাকে। চলার পথেও বাসগুলো খেয়াল খুশি মতো দাঁড়ায়। বাসের সারিতে রাস্তায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। রাস্তায় চলাচলের সময় যেখানে ‘দাঁড়ানো যাবে না’ বলে সাইনবোর্ড দেয়া থাকে সেখানে বেশি বেশি দাঁড়ায় বাসগুলো। এতে করে পেছনে যানবাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। তাতেও ভুক্তভোগী ওই যাত্রীরাই।
এদিকে, নগরীর এক স্থান থেকে আরেক স্থানের দূরত্ব না জানার কারণে যাত্রীরা প্রকৃত ভাড়ার অঙ্ক জানেন না। এই সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। বিআরটিএ প্রতিটি বাসে ভাড়ার তালিকা লাগানো বাধ্যতামূলক করলেও বেশিরভাগ বাসে তা থাকে না। বিআরটিএ’র অভিযান শুরু করে মালিকপক্ষ ভাড়ার তালিকা টানায়। গতকাল মোবাইল কোর্টের অভিযানের ভয়ে কোনো কোনো বাসে ভাড়ার তালিকা দেখা গেছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের জন্য নগরীর কয়েকটি স্থানের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেগুলোর কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো: গুলিস্তান থেকে ফার্মগেইটের দূরত্ব ৪.৭ কি.মি. বাসের ভাড়া ৮ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৭.৫০ টাকা। মতিঝিল থেকে ফার্মগেইট দূরত্ব ৬.৪ কি.মি, বাসের ভাড়া ১১ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ১০ টাকা। ফার্মগেইট থেকে আগারগাঁও দূরত্ব ২.৯ কি.মি, বাসের ভাড়া ৭ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৫ টাকা। ফার্মগেইট থেকে শেওড়াপাড়ার দূরত্ব ৪.৬ কি.মি, বাসের ভাড়া ৮ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৭ টাকা। ফার্মগেইট থেকে মিরপুর দূরত্ব ৬.০৪ কি.মি, বাসের ভাড়া ১১ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ১০ টাকা। মতিঝিল থেকে মিরপুরের দূরত্ব ১২ কি.মি, বাসের ভাড়া ২০ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ১৯ টাকা। মতিঝিল থেকে শাহবাগ ৩.৭ কি.মি. এ বাসের ভাড়া ৭ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৫ টাকা। মতিঝিল থেকে সায়েন্সল্যাব ৬.১ কি.মি.দূরত্বে বাসের ভাড়া ১০ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৯ টাকা। মতিঝিল থেকে সাইনবোর্ডের (নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড) দূরত্ব ৭.৮ কি.মি. বাসের ভাড়া ১৩ টাকা মিনিবাস ১২ টাকা। প্রেসক্লাব থেকে মোহাম্মদপুরের দূরত্ব  ৭.৭ কি.মি. বাসের ভাড়া ১৩ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ১২ টাকা। নীলক্ষেত থেকে ঢাকা সিটি কলেজের দূরত্ব ২.৭ কি.মি.। বাসের ভাড়া ৭ টাকা, মিনিবাসের ভাড়া ৫ টাকা। ঝিগাতলা-মোহাম্মদপুর ২.৪ কি.মি বাসের ভাড়া ৭ টাকা, মিনিবাসের ভাড়া ৫ টাকা। মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ীর দূরত্ব ৩.২ কি.মি.। বাসের ভাড়া ৭ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৫ টাকা। মতিঝিল থেকে রায়েরবাগের দূরত্ব ৫.৫ কি.মি.। বাসের ভাড়া ৯ টাকা মিনিবাসের ভাড়া ৮ টাকা। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা শহরে কোনো দূরত্বেই এখন আর ৫ টাকা ভাড়া নেই। সবখানেই সর্বনিম্ন ৭টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।



 

Show all comments
  • তুষার ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:১৭ এএম says : 0
    আশা করি, এ ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কঠোর ভুমিকা পালন করবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • md musa Islam ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:৫৯ পিএম says : 0
    যে সমস্ত বাস রাস্তায় না চালানো হচ্ছেতা,দেরবিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে, দরকার হলে বি,জি,বি দ্বারা চালান, ভবিষ্যতে অরাজকতা করতে সাহস না পায়। আমরা পরিবহন সেক্টরেরকাছে জিম্মি হয়ে গেছি, বিগত সরকারেরআমলে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আরিফ ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৪৫ পিএম says : 0
    আমার মতে বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের ছদ্দ বেসে (যাত্রী সেজে) অভিযান করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ