Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যাত্রাবাড়িতে পরিবহন সেক্টরে জাকিরের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৪২ পিএম

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পরিবহন সেক্টর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করছে জাকির হোসেন নামের এক পরিবহন শ্রমিক নেতা। কখনো কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি,কখনো যাত্রাবাড়ি থানা সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক, আবার কখনো ইলিশ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয়ে দিব্যি চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন জাকির হোসেন ও তার সহযোগীরা। মিনিবাস, দূরপাল্লার বাস, ট্টাক, লেগুনা থেকে শুরু করে অটোরিক্সাসহ যে কোন পরিবহন থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়তই টাকা। প্রতি গাড়ি ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলছে জাকির বাহিনী। এই বাহিনীকে চাঁদা না দিলে পরিবহনের ড্রাইভার, হেলপারকে মারধরসহ নানা রকম হয়রানীতে ফেলেন তারা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জাকির বাহিনী হারহামেশা চাঁদাবাজি করলেও তাদের কিছুই করছেননা প্রশাসনের বড়বাবুরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মাওয়াগামী গাড়ির বেশ কয়েকজন মালিক জানান, জাকিরকে মাসোয়ারা না দিলে রাস্তায় গাড়ি চালানো যায় না। প্রতিদিন স্ট্যান্ডে এসে গাড়ির হেলপার ড্রাইভারদের টাকার জন্য ডিস্টার্ব করেন। টাকা না দিলে পুলিশের ভয় দেখায়, রেকার দিয়ে গাড়ি ড্যাম্পিং এ দিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।এদিকে, লেগুনা ও মিনিবাস মালিকরা বলছেন জাকিরেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারা। জাকিরকে চাঁদা না দিলে গাড়ি চালকদের মারধরসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করে থাকেন। আবদুস সামাদ নামে মাওয়া থেকে যাত্রাবাড়ি চলাচলরত একজন যাত্রী জানান, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যার যে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। জাকিরবাহিনীর মতো আরো যারা পরিবহনে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন তাদের ধরপাকড় করলেই পরিবহন সেক্টরে শান্তির সুবাতাস বইবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, পরিবহনের টাকা নিয়ে জাকিরের বাজার এখন তুঙ্গে। কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক বনে গেছেন চাঁদাবাজ জাকির। কাউকেই মানে না। সামান্য কথা উঠলেই বলে বড় বড় নেতা আর পুলিশ প্রশাসনের ভয় দেখায়। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা অপারগ। চাঁদা না দিলে গাড়ির চাকা বন্ধ করে দেয় জাকির। যাত্রাবাড়ি মাওয়া সড়ক ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে তার লোকজন থাকে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারপিট ও মামলার ভয় দেখায় দেলোয়ার বাহিনী।জানতে চাইলে জাকির বলেন, আমি চাঁদাবাজি করি না। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।এ বিষয়ে ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ, ইফতেখার ইসলাম বলেন, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে আমরা কাজ করছি। যারাই চাঁদাবাজি করছে বা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ