পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পরমাণু বোমার বাইরে সবচেয়ে বড় বোমা (এমওএবি) নিক্ষেপে ৯০ জন নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের ঘাঁটি। ৯ হাজার ৮শ’ কেজি ওজনের এই বোমাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান সীমান্তবর্তী নানগাহর প্রদেশে আইএস-এর টানেল কমপ্লেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এতে কোনও বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এ হামলার নিন্দা জানিয়ে টুইটারে বলেছেন, এটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়, বরং এর মাধ্যমে নতুন এবং বিপজ্জনক একটি অস্ত্র পরীক্ষার জন্য আফগানিস্তানকে খুবই অমানবিক এবং নির্মমভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ওদিকে, আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলছেন, আফগান সরকারের সমন্বয়েই এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় যাতে বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেদিকটিও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বোমাটি মোমান্দ ভ্যালির একটি গ্রাম এলাকায় পড়েছে। ওই এলাকায় আইএস-এর আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক আছে। বোমা হামলায় তাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও ধ্বংস হয়েছে। অপরদিকে আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানায় সবচেয়ে বড় অপারমাণবিক বোমা হামলার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এ হামলাকে হিসাব কষে নেওয়া পরিকল্পিত পদক্ষেপ বলেই বর্ণনা করেছে তারা। একেবারে মোক্ষম সময়ে সঠিক লক্ষ্যে সঠিক অস্ত্র হামলা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মার্কিন জেনারেল জন নিকোলসন। মাদার অফ অল বম্বস নামে পরিচিত জিবিইউ-৪৩/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার বøাস্ট বম্ব (এমওএবি) ২০০৩ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এর আগে কোনো যুদ্ধে এটা ব্যবহার করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান সীমান্তবর্তী নানগাহর প্রদেশে এ বোমা হামলায় আইএস-এর ৩৬ যোদ্ধা নিহত হয় বলে জানিয়েছেন আফগান কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার এ বোমা হামলা চালানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যে হামলা করার জন্য এত শক্তিশালী বোমা ফেলার দরকার ছিল কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন করা করা হয়। কারণ, পরমাণু বোমার পরেই এ বোমা সবচেয়ে শক্তিশালী। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।