পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর হাতিরঝিলে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার ‘গ্র্যান্ড মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন’ ও অ্যাম্ফিথিয়েটার উদ্বোধন করেছেন। তিনি এগুলোকে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৪’-এর উপহার বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন উদ্বোধন করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ঢাকা ওয়াসার সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন এই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে।
লেকের পানির ওপর নির্মিত এই অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং মনোরম মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন হাতিরঝিল প্রকল্পের অধীনে নগরবাসীর বিনোদনে নতুন সংযোজন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বলে নির্মাতারা উল্লেখ করেছেন। এই অ্যাম্ফিথিয়েটারের আসনসংখ্যা দুই হাজার।
উদ্বোধনকালে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহŸান জানান। তিনি বলেন, হাতিরঝিলের মনোরম পরিবেশে পৃঃ ৫ কঃ ৫
মহানগরীর বিপুলসংখ্যক মানুষ ও দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা এই ফাউন্টেন পরিদর্শনকালে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনও গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাইদ মোহাম্মদ মাসুদ ফাউন্টেন ও অ্যাম্ফিথিয়েটারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে কর্মরত। এই জীবনযুদ্ধে হিমশিম খাওয়া মানুষগুলোর তো মাঝেমধ্যে একটু চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন হয়। জীবন নিয়ে যাদের চিন্তাযুক্ত থাকতে হচ্ছে, সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে, সেখানে তাদের জীবনটাকে একটু সহজ করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে যেমন খাদ্যনিরাপত্তা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, তাদের গৃহের ব্যবস্থা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় ব্যাপক কাজ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় দফায় দেশ পরিচালনায় এসে আমরা এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার মতো অবস্থান করে নিতে পেরেছে। ১৬ কোটি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই হচ্ছে আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের চিত্তবিনোদনের সুযোগটা খুব সীমিত। সেই সীমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আজকে এই অ্যাম্ফিথিয়েটার ও ফাউন্টেনটা করা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ বাঙালির মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ অঞ্চলে বাংলা নববর্ষটা উদ্যাপন করি। এটা মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের অতীতের পণ্য বিনিময় থেকেই এই নববর্ষের শুরু। পুরোনো সব হিসাব শেষ করে নতুন হিসাব লিখে রাখা হতো হালখাতায়। এর সঙ্গে আর অন্য কিছু মিলিয়ে ফেললে হবে না। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্কটা সংস্কৃতির।
বিদ্যালয় পর্যায়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী কাউন্সেলিং প্রদানের উদ্যোগ নেবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিদ্যালয় পর্যায়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী কাউন্সেলিং প্রদানের উদ্যোগ নেবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মাঝে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল শ্রেণী-পেশার জনগণের সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিডিও কনফারেন্স-এ প্রতি স্কুলে মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সিলর দেয়ার একটা প্রস্তাব এসেছে। প্রতি স্কুলে হয়তো মনোবিজ্ঞানী কাউন্সিলর দেয়া সম্ভব নয়। তবে, আমরা ইতোমধ্যেই একটি উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা জানেন, আমি সূচনা ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশনও করেছি এবং সেখানে যারা এ ধরনের বিপথে যাচ্ছে বা যারা অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী রয়েছে সেখানে তাদের কিছু কাউন্সেলিং প্রদান করা হচ্ছে। আর সে কাউন্সেলিংয়ের জন্য আমরা হয়তো কিছু মানুষকে ট্রেনিং দিতে পারি, তারা কিভাবে এই কাউন্সেলিংটা করবেন। শুধু কাউকে কাউন্সেলিং দিলে হবে না, অভিভাবক-শিক্ষক তাদেরও এ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। তাদেরও জানতে হবে। শিক্ষক এবং অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়েও আমরা উদ্যোগ নেবো। যাতে কেউ বিপথে গেলে তাদের যেন সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়। এটি একটি ভালো প্রস্তাব। কাজেই সব স্কুলে কাউন্সিলর দেয়া না গেলেও আমরা সকলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ ধরনের একটা উদ্যোগ নিতে পারি।
এ সময় গণভবন প্রান্তে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ হাজার ১৯টি পয়েণ্টে স¤প্রচারের আয়োজন সম্বলিত এই ভিডিও কনফারেন্সে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হওয়ার একটাই কারণ, আমাদের সেটা হচ্ছেÑ একটা নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস। যে করেই হোক এই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। এটা কখনো ইসলামের পথ না। ইসলাম জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এবং নিরীহ মানুষ হত্যা করাকে কখনো সমর্থন করে না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু লোকের অপকর্মের জন্য আমাদের শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম ইসলামের বদনাম হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে ধর্মটাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। কাজেই আমি এটাই আপনাদের কাছে চাইবো, যে করেই হোক এর হাত থেকে আপনাদের ছেলেপেলেদের মুক্ত রাখতে হবে। আমাদের সমাজে বিশিষ্টজনেরা আছেন, শিক্ষকরা আছেন, মসজিদের ইমামরা আছেন, ওলামায়ে কেরাম আছেন এবং বিভিন্ন পেশাজীবী এবং অভিভাবক সকলকে আমি অনুরোধ রাখবো যে, কাদের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে, স্কুল-কলেজে কারা অনুপস্থিত রয়েছে- তার যেন খোঁজ-খবর নেন এবং কোনভাবেই এসব কোমলমতি যেন বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, এটা আমাদের নীতি। এটাই ধর্মনিরপেক্ষতা। এই সময় মদ ও জুয়া নিষিদ্ধকরণসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন এবং জাতির পিতার ইসলাম প্রসারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশটা আমাদের। প্রতিটা পরিবারই আমাদের আপনজন। প্রত্যেক পরিবার যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। কোন পরিবারে যদি একটা মাদকাসক্ত সন্তান থাকে তাহলে সেই পরিবারে দুঃখের সীমা থাকে না। কোন পরিবারের কোন্ ছেলে যদি সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত হয়ে যায়, সে পরিবারের জন্য সেটা সব থেকে দুঃখজনক হয়ে যায়। কাজেই ছেলেপেলেদের এটা বোঝাতে হবে এবং সেভাবেই তাদের মানুষ করতে হবে। এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। আর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে এটুকু চাইবÑ এই প্রকল্পের কাজগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, সে ব্যাপারেও সবাই যতœবান হবেন এবং সে কাজগুলো করবেন সেটাই আমরা চাই।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এটা প্রতিরোধে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আজ যে গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং আজকে যে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ কথা বললেন, আপনাদের কাছ থেকে যে, তথ্য আমরা পেলাম তাতে আমি খুব আশাবাদী যে বাংলাদেশ একটা শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এখানে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদেও কোন স্থান থাকবে না। মাদকের হাত থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। কাজেই সকলকে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে উদ্যোগগুলো আপনারা নিচ্ছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন সেজন্য সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তৃণমূল পর্যায়ে থেকে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা যারা আছেন- তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন এবং আরো ভূমিকা রাখবেন এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ সকলেরই সহযোগিতা কামনা করি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসুন এদেশটাকে আমরা গড়ে তুলি। আপনারা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেভাবে কাজ করে গেলেই আমরা ইনশাল্লাহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দেশটাকে মুক্ত করতে পারব।
হাওরের কৃষকদের ব্যাংক ঋণের সুদ স্থগিত করা হয়েছে
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস জানায়, হাওরের কৃষকদের ব্যাংক ঋণের সুদ স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হাওর এলাকায় আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দায়িত্ব সরকারের। একটি মানুষকেও না খেয়ে মরতে দিব না। ওই এলাকার কৃষকদের ব্যাংক ঋণের সুদ স্থগিত করা হয়েছে। যাতে করে তারা নতুন করে ফসল ফলাতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবিরোধী ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ময়মনসিংহবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউস মাঠ থেকে ময়মনসিংহবাসী এ কনফারেন্সে অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মসজিদের ইমাম, স্কুলের ছাত্র ও বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম। ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর এ ভিডিও কনফারেন্স।
ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরা হয়। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভালুকা ডিগ্রি কলেজ থেকেও সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ হাজার ১৯টি স্থান থেকে ২৮ লাখ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ কনফারেন্সে যোগ দেন।
এ ভিডিও কনফারেন্সে ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, মহানগর যুবলীগের আহŸায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গফরগাঁওয়ে ভিডিও কনফারেন্স
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ বিভাগের সাথে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবিরোধী ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভিডিত্ত কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত হয় উপজেলা প্রশাসন। গফরগাঁও উপজেলা আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিত্ত কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্য শুনতে হাজার হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিত্ত কনফারেন্সের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্য গফরগাঁও উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌরসভাসহ উপজেলার ১শ’ ৮৭টি স্থানে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিত্ত কনফারেন্সের পূর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি। বক্তব্যে এমপি বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ ও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্প, বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছে। তিনি বলেন, গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পুরোদমে নতুন সড়ক উন্নয়ন, সড়ক মেরামত, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ উদ্দিন (বাদল), গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আমির হোসেন, পৌরসভার মেয়র এস এম ইকবাল হোসেন (সুমন), উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ শামীম রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামছুল আরেফিন, জাতীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপির একান্ত সচিব মাসুদ হোসেন (সোহেল), সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও জাতীয় দৈনিকের সকল সাংবাদিক, ইমাম এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিত্ত কনফারেন্স সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
শেরপুরে ভিডিও কনফারেন্স
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যান্য জেলার সাথে শেরপুরেও প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বিষয়ে সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এবং সরকারের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্কে স্থাপিত মঞ্চে শেরপুরের তৃণমূল প্রান্তিক জনসাধরণের সাথে এ মতবিনিময় করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীর সাংসদ প্রকৌশলী ফজলুল হক চান, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার উৎসুক জনতা। কনফারেন্স চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি রাবেতা মং, মৎস্য চাষী মহসিন মিয়া বক্তব্য রাখেন। বক্তারা শেরপুরে বিরিশিরী আদিবাসী কালচার সেন্টারের ন্যায় একটি আদিবাসী কালচার সেন্টার, জেলার সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন, সরকারি মৎস হ্যাচারি স্থাপনসহ নানা দাবি উত্থাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।