নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের শেষ দিকে উত্তেজনা চরমে। ম্যাচের ফল নিয়ে নয়, শোয়েব মালিকের সেঞ্চুরির সম্ভবনা নিয়ে। জয়ের জন্য দরকার ৪ রান, আর শোয়েবের তিন অঙ্ক ছুঁতে ৫। ডাওন দ্য উইকেটে এসে জেসন হোল্ডারকে মাথার উপর দিয়ে মারলেন উড়িয়ে, ছক্কা! সেঞ্চুরির সাথে নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের ৬ উইকেটের জয়ও। পিছিয়ে থেকে সিরিজটাও তারা পকেটস্থ করল ২-১ ব্যবধানে।
সেই ১৯৯১ সাল থেকে পাকিস্তান নামটা রহস্যই রয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। সিরিজের শুরুতে মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে দীর্ঘ দিনের সিরিজ জয়ের সেই অপক্ষো এবার ঘুচবে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনশোর্ধ রানের লক্ষ তাড়া করে গড়া জয়ের রেকর্ড তেমন আভাসই দিচ্ছিল। কিন্তু সিরিজ শেষে আবারো পরাজয়ের হতাশা।
ক্যারিবিয়দের ওই একটি জয়ই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের জন্যে। হোয়াইটওয়াশ হলেই বাংলাদেশকে (৯২) টপকে আইসিসি র্যাংকিংয়ের সাতে উঠে যেত পাকিস্তান (৯০)। সে ক্ষেত্রে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে যেতো মাশরাফি বাহিনী। এখন মোটামুটি শঙ্কামুক্ত।
ক্যরিবিয়দের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে মূলত তাদের ব্যাটিং। এদিনও শীর্ষ আট ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করেও তার মধ্যে ফিফটি ইনিংস মাত্র দু’টি। প্রথম ম্যাচের নায়ক জেসন মোহাম্মেদ করেন ৫৯, ৭১ রান শাই হোপের। দু’জনের ১০১ রানের জুটি বড় সংগ্রহের আভাসও দিচ্ছিল। কিন্তু হাতে ৭ উইকেট নিয়েও শেষ ১০ ওভারে তারা তুলতে পারে মাত্র ৭২ রান। ৯ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৩।
স্পিন বান্ধব উইকেটে হলেও পাকিস্তানের সামনে ২৩৪ রানের লক্ষ্যটা ছোটই ছিল। এজন্য স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার চেয়ে পাক বোলারদের কৃতিত্বটাই বেশি। ইমাদ ওয়াসিম ১০ ওভারে দেন মাত্র ২৪ রান, তুলে নেন এক উইকেট। মোহাম্মাদ হাফিজ উইকেট না পেলেও ৭ ওভারে তার খরচ মাত্র ২১। শাদব খান, জুনায়েদ খান ও মোহাম্মাদ আমিররা একটু খরুচে হলেও প্রত্যেকে তুলে নেন দু’টি করে উইকেট।
তবে এই ছোট লক্ষ্যও একসময় বড় হয়ে দেখা দেয় সরফরাজ আহমেদের দলের সামনে। দলীয় ৩৬ রানেই নেই তিন উইকেট। কিন্তু পরের সময়টুকু স্বাগতিক বোলারদের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের। হাফিজকে নিয়ে ১১৩ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন শোয়েব মালিক। হাফিজ ব্যাক্তিগত ৮১ রানে ফিরলেও অধিনায়ক সরফরাজকে নিয়ে আবার ৮৭ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন শোয়েব মালিক। ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সাথে তার সেঞ্চুরি উদযাপনের কথা আগেই বলেছি। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিটা তিনি সাজান ১০টি চার ও দুইটি ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ২৩৩/৯ (লুইস ১৬, ওয়ালটন ১৯, পাওয়েল ২৩, হোপ ৭১, জেসন ৫৯, কার্টার ১১, হোল্ডার ১২, নার্স ১০*; আমির ২/৪১, জুনাইদ ২/৬০, হাসান ১/২৯, হাফিজ ০/২১, ইমাদ ১/২৪, শাদাব ২/৫৭)। পাকিস্তান : ৪৩.১ ওভারে ২৩৬/৪ (শেহজাদ ৩, বাবর ১৬, হাফিজ ৮১, মালিক ১০১*, সরফরাজ ২৪*; গ্যাব্রিয়েল ২/৬০, হোল্ডার ১/৩৭, নার্স ১/৪৯)।
ফল : পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা : শোয়েব মালিক (পাকিস্তান)।
সিরিজ : ৩ ম্যাচে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।