Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুফতি হান্নানসহ তিন জনের ফাঁসি কার্যকর

প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:১৮ এএম, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায়


হাসান-উজ-জামান : ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার দুই সহযোগীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। এদের মধ্যে মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। তাদেরকে একই ফাঁসির মঞ্চে পাশাপাশি ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হয়। আর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হয় দেলোয়ার হোসেন রিপনের। তিনজনেরই গতরাত ১০টা ১ মিনিটে একই সঙ্গে ফাঁসি হয়। তাদের ফাঁসি উপলক্ষে কারাগার এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো সময় ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। এদিকে মুফতি হান্নানের সাথে তার স্বজনদের শেষ সাক্ষাৎ, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, জল্লাদ প্রস্তুত রাখা, ফাঁসির মহড়া এবং কাশিমপুর কারাগার এলাকার নিরাপত্তার চিত্রই আভাস দিয়েছিল রাতেই তাদের ফাঁসি হচ্ছে। এছাড়া গতকাল কারাগার সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তাও বলেন, সব ঠিক থাকলে বুধবার মধ্য রাতের আগেই তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদÐ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়া হয়। গত ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দেন। এর পর থেকেই তাদের ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার কারা কতৃপক্ষ মুফতি আব্দুল হান্নান পরিবারের সদস্যদের বিদায়ী সাক্ষাতের জন্য চিঠি দেয়। গতকাল বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে শেষ সাক্ষাৎ করেন মুফতি হান্নানের ভাই, স্ত্রী ও দুই মেয়ে। ওই কারাগারে বন্দি দুই ভাইকেও হান্নানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে বিপুলের পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যা পর্যন্ত আসেননি বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র সুপার মো. মিজানুর রহমান।
মুফতি হান্নানের পরিবারের সদস্যরা সকালে কামিশপুর কারাগার ঘুরে যাওয়ার পর বিকালের দিকে বদলে যেতে থাকে কারাগারের সামনের দৃশ্যপট। বিকাল ৪টার দিকে ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম কারাগারে প্রবেশের পরপরই কমিউনিটি পুলিশের ত্রিশজনের একটি দল কারাফটকের আসেন। সাড়ে ৪টার দিকে কারাগারের যাওয়ার সড়কের দুপাশের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া আশপাশের মানুষকে কারাগারের সামনের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলকে কারাফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এর পর আসে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। কারাগারের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় র‌্যাবের গাড়ি। সোয়া ৫টায় দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি কারাগারে প্রবেশ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারাগারে ভেতরে ঢোকানো হয় সাদা রঙ্গের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন ও অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান রাত ৮টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন।
কাশিমপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন জানান, ফাঁসি কার্যকর করার জন্য প্রধান জল্লাদ রাজুর নেতৃত্বে অপর ৭ জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়। বাকিরা হলেন, জল্লাদ হায়দার, সালাউদ্দিন, রুম্মমান, ওয়াসিম, ইকবাল, আবিদ মুন্সী ও সাকু ব্যাপারি। তবে রাজু এবং তার সহযোগী হিসেবে শরিফুল ইসলাম ও ইকবাল হোসেনকে বাছাই করে রাখা হয়। কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্্েরর ইমাম মাওলানা মো. হেলাল উদ্দিনকে আসামিদের তওবা পড়ান। দুই জঙ্গি নেতার ফাঁসি কার্যকরের আগে একাধিকবার ফাঁসি কার্যকরের জন্য মহড়া হয়েছে। দুপুরের দিকে কারা চিকিৎসক মো. মিজানুর রহমান ফাঁসির দুই আসামি মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সন্ধ্যার পর আরেক দফা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
কারাফটকের কয়েকশ’ গজের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গতকাল বিকেল থেকেই। এমনিক সংবাদ মাধ্যমের যানবাহনকেও ব্যারিকেডের ভেতর যেতে দেওয়া হয়নি। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ গতকাল সন্ধ্যায় কারাগারের বাইরে অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। এর আগে মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাই কেবল কারাগার নয়, পুরো জেলার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারাগার এলাকায় বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফাঁসির পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দু’জনের (হান্নান ও বিপুল) লাশ তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হবে।
রাত ৯টা ৩৩ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন সিভিল সার্জন সৈয়দ মঞ্জুরুল হক। এসময় কারাগারে ঢোকেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম। আর আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন আিইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল হোসেন। রাত ১০টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসনো হয়েছে : হান্নানের মেয়ে
কাশিমপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন জানান, গতকাল বুধবার ভোর ৬টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছান মুফতি হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভীন, দুই মেয়ে নিশাত ও নাজনীন এবং বড় ভাই আলী উজ্জামানসহ তার পরিবারের চার সদস্য। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তারা হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পান। প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলার পর ৭টা ৫০ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন। এদিকে বাবার সাথে জীবনের শেষ দেখা করে কারাগার থেকে বের হয়ে মুফতি হান্নানের বড় মেয়ে নিশি খানম দাবি করেন, তার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এছাড়া মুফতি হান্নানের বরাত দিয়ে তার বড় ভাই আলি উজ্জামান মুন্সী বলেন, যা কিছু হয়েছে আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে।
বিকেলে হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে যান তার মা। এ সময় তিনি তার মাকে বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এই অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছে। সুতরাং আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে আমি তা মেনে নিয়েছি। আমার ভাগ্যে যা আছে তা হবে। আমার জন্য কোনো চিন্তা করবেন না। সন্ধ্যায় তার বড় ভাই আলি উজ্জামান কারা ফটকের সামনে এসব কথা জানান। আলি উজ্জামান বলেন, মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হলে তার লাশ, গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করতে চান। কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি তার সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে বড় ভাইকে অনুরোধ করেন। হান্নানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার হিরন এলাকায়।

 

মো. দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে জানান : কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান কারাগারের মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকদের কাছে প্রেস বিফিংয়ে জানান, বুধবার রাত ১০টায় তাদের মৃত্যুদণ্ডাদাশে কার্যকর করা হয়েছে। হান্নানের লাশ তার নিজ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে পুলিশ প্রহরায় পাঠানো হবে। তবে বিপুলের সাথে শেষ সাক্ষাতে তার কোনো আতœীয়-স্বজন না আসায় পুলিশ প্রহরায় তার লাশ নিজ জেলা চাঁদপুর অথবা আঞ্জুমান মুফিদুলে পাঠানো হতে পারে বলে কারাসূত্রে জানা গেছে।
জল্লাদ ছিলেন যারাÑ মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের ফাঁসির দÐাদেশ কার্যকরে প্রধান জল্লাদের দায়িত্বে ছিলেন, রাজু ও তার সহযোগী ছিলেন ইকবাল ও শফিক। এর আগে গত সোমবার দুই দফা ফাঁসির মহরা হয় কাশিমপুর কারাগারে।
কর্মকর্তাদের কারাগারে প্রবেশ : বুধবার রাত ৯টা ৪৫মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল হক।
ভিআইপি কারাগারে প্রবেশ : গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন, ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম। এরপর রাত ৮টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন, আইজি প্রিজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। এছাড়াও, কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন, গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ।
স্বজনদের সাক্ষাৎ : বুধবার সকাল ৬টার দিকে মুফতি হান্নানের স্ত্রী, মেয়েসহ পরিবারের চার সদস্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারের এসে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হান্নানের সাথে শেষ স্বাক্ষাতের অনুমতি চান। পরে তারা অনুমতি পেয়ে বুধবার সকাল ৬টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন এবং সকাল সোয়া ৮টার দিকে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, বুধবার সকালে মুফতি হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমা বেগম, বড় ভাই আলী উজ্জামান মুন্সী, মেয়ে নাজনীন ও নিশি খানম কারাগারে প্রবেশ করে মুফতি হান্নানের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে, বুধবার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার কারাবন্দি দুই ভাই দেখা করেছেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে হান্নানের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করানো হয়। এরা হলেনÑ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা বন্দি মো. মহিবুল ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মো.আনিস। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বিপুলের কোনো আত্মীয়-স্বজন কারাগারে আসেনি। এর আগে গত সোমবার দুপুর ১টায় মুফতি হান্নানের করা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা নাকচের চিঠি কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে মুফতি হান্নান ও বিপুলের স্বজনদের দেখা করার জন্য বার্তা পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ।
মুফতি হান্নানের শেষ কথা : কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তার বড়ভাই আলী উজ্জামান কারাফটকের সামনে হান্নানের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, মুফতি হান্নান তাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। যতোদিন তার হায়াত আছে ততোদিন তিনি বেঁচে থাকবেন। তার মৃত্যু যেভাবে লেখা রয়েছে সেই ভাবেই হবে বলে হান্নান তাকে জানিয়েছেন।
কারাগার এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি : মুফতি হান্নানের ফাঁসি দÐাদেশ কার্যকরকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর কারাগার ও এর আশপাশের এলাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিল আইন-শৃঙ্খলা-বাহিনীর সদস্যরা। গত সোমবার থেকেই কাশিমপুর কারাগারের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এছাড়াও, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে জেলখানা সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যান চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র‌্যাব, সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যেদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে। গতকাল বিকালে কাশিমপুর কারাগারে দুটি এ্যাম্বুুলেন্স,ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও পুলিশের একটি সাজোয়াযান প্রবেশ করে।

সিলেট থেকে
খলিলুর রহমান জানান
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জল্লাদ ফারুকের নেতৃত্বে রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন আরো ৯ জল্লাদ। রিপনের ফাঁসি কার্যকরের সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফাত মো. শাহেদুল ইসলাম, ডিআইজি প্রিজন এ কে এম ফজলুল হক, সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়াসহ প্রশাসন ও কারাগার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রিপনের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে নিয়ে যাবেন।
এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ৯টায় কারাগারের ভেতর ঢুকের আবু তুরাব জামে মসজিদের ইমাম মুফতি বেলাল উদ্দিন ও ডিআইজি প্রিজন এ কে এম ফজলুল হক। মুফতি বেলাল কারাগারের ভেতর জঙ্গি রিপনকে তওবা পড়ান। রাত ৯টা ২২ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। রাত ৯টা ১৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে ঢুকেন সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফাত মো. শাহেদুল ইসলাম। পরে রাত সাড়ে ৯টায় রিপনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারি পরিচালক অমল রতন সাহা কারাগারে ঢুকেন। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে কারাগারে ভেতর শাহজালাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢুকে। এ অ্যাম্বুলেন্সে করেই রিপনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে একটি মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে যান রিপনের পরিবারের ২৫ সদস্য। তন্মধ্যে তার বাবা আবু ইউসুফ ও মা সমিরুল নেসাও ছিলেন। রিপনের সাথে শেষ সাক্ষাৎ করে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন।

সিলেট থেকে
খলিলুর রহমান জানান
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জল্লাদ ফারুকের নেতৃত্বে রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন আরো ৯ জল্লাদ। রিপনের ফাঁসি কার্যকরের সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফাত মো. শাহেদুল ইসলাম, ডিআইজি প্রিজন এ কে এম ফজলুল হক, সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়াসহ প্রশাসন ও কারাগার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রিপনের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে নিয়ে যাবেন।
এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ৯টায় কারাগারের ভেতর ঢুকের আবু তুরাব জামে মসজিদের ইমাম মুফতি বেলাল উদ্দিন ও ডিআইজি প্রিজন এ কে এম ফজলুল হক। মুফতি বেলাল কারাগারের ভেতর জঙ্গি রিপনকে তওবা পড়ান। রাত ৯টা ২২ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। রাত ৯টা ১৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে ঢুকেন সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফাত মো. শাহেদুল ইসলাম। পরে রাত সাড়ে ৯টায় রিপনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারি পরিচালক অমল রতন সাহা কারাগারে ঢুকেন। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে কারাগারে ভেতর শাহজালাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢুকে। এ অ্যাম্বুলেন্সে করেই রিপনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে একটি মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে যান রিপনের পরিবারের ২৫ সদস্য। তন্মধ্যে তার বাবা আবু ইউসুফ ও মা সমিরুল নেসাও ছিলেন। রিপনের সাথে শেষ সাক্ষাৎ করে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন।



 

Show all comments
  • Kabir ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:১৫ পিএম says : 0
    Allah is best justice.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ