Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুফতি হান্নানের ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রায়ের কপি পড়ে শোনানো হয়েছে, প্রাণভিক্ষার আবেদনের খারিজের কপিও কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার : কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন হুজির প্রধান নেতা ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান। প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে নাকচ হওয়ার বিষয়টি মুফতি হান্নান ও অপর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা শরিফ শাহেদুলকে পড়ে শোনানো হয়েছে। তাদের ফাঁসি দিতে কারাগারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
গাজীপুরের কাশিমপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার  মো: মিজানুর রহমান জানান, প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার কপি গতকাল সোমবার দুপুরে কারাগারে এসে পৌঁছে। এরপর হান্নান ও শাহেদুলকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে কারা বিধি অনুযায়ী দুইজনের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
কারাগার সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ফাঁসি কার্যকরের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১০ জন জল্লাদের একটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে জল্লাদ শাহজাহানের নামও রয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুফতি হান্নান প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন তা রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন কারাগার তার ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ রায় কার্যকরের জন্য জেল কোড অনুযায়ী যা যা করা দরকার সে প্রক্রিয়াগুলো শেষ করে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ আপিলেও বহাল রাখেন। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন মুফতি। তবে  সেই আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি।
১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। ২২ মার্চ তাকে কারাগারে রায় পড়ে শোনানো হয়। ফাঁসির দÐপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার দুই সহযোগীর একজন শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন। তারা দুইজনও প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন।
সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১  মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদন্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ