গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন তার স্ত্রী সুমি আক্তার। বহুল আলোচিত এ হত্যাকান্ডের ১৩ দিনের মাথায় গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজের আদালতে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় করা এই অভিযোগে এক পুলিশসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসফাক আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার কোন থানায় আগে কোনো মামলা রেকর্ড হয়েছে কিনা তা জানতে প্রতিবেদন চেয়েছেন। এ বিষয়ে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতার নির্দেশ দেন আদালত।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযোগের বিষয়ে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান আসফাক আহমেদ। অভিযুক্তরা হলেন রাউজান থানার নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শেখ মোহাম্মদ জাবেদ, বাবুল মেম্বার, খালেক মেম্বার, জসিম, সেকান্দর, নাসের ওরঢে টাইগার নাসের, এমরান, মো. হাসান, নুরুল ইসলাম, লিটন, মেহেদি, ভূপেষ বড়ুয়া ও রব্বান।
আদালতের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, ভিকটিমের পরিবার যদি কোনো মামলা না করে সেক্ষেত্রে পুলিশ বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা করতে পারে। কিন্তু পুলিশ আরেকটি মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। আবার অন্যদিকে পুলিশ সুপার তদন্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন। এতে করে পুলিশের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। এজন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
গত ২৯ মার্চ রাতে নগরীর চন্দনপুরার বাসা থেকে পুলিশ তাকে তুলে নেয়। পরদিন সকালে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের খেলাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে নুরুর হাত-পা বাঁধা মাথায় গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগ নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাবেদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক নুরুকে হাতকড়া পরিয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। তবে এর মধ্যে পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা জানিয়েছেন, এ হত্যা মামলা পুলিশ তদন্ত করবেন। যেহেতু পুলিশের বিরুদ্ধে পরিবার অভিযোগ করেছে সেহেতু মামলাটি সিআইডি কিংবা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ের মাধ্যমে তদন্ত করার ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতরে পত্র পাঠিয়েছে জেলা পুলিশ। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ ইনকিলাবকে জানান, মামলাটি এখনও থানার এসআই মহসিন তদন্ত করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।