Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসাদ বাহিনী এবং রুশ হামলায় আগুনে বোমা ব্যবহার করা হয়

প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৪ এএম, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের শহর এলাকায় সরকারি বাহিনীর হামলা এবং রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের হামলার সময় আগুনে বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। গত সোমবার হামলাস্থলে কর্মরত উদ্ধারকর্মীরা জানায়, দেশটির ইদলিব ও হামা প্রদেশের বিভিন্ন শহরে রাসায়নিক হামলা চালানোর পর ওই দুটি এলাকায় আগুনে বোমাও ফেলা হয়। তারা জানান, ইদলিব প্রদেশের সারাকেব শহরে এবং হামা প্রদেশের লাতামেনহ শহরে রুশ জঙ্গি বিমান থেকে আগুনে বোমা বর্ষণ করা হয়। এই বোমায় থারমাইটের মতো অগ্নিপ্রজ্বলক উপাদান ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী যেসব বোমা বর্ষণ করে তাতে ফসফরাস ব্যবহার করা হয়। এই দুই ধরনের বোমাই আগুনে বোমা হিসাবে পরিচিত। এ জাতীয় বোমায় বেসামরিক এলাকায় অগ্নিকাÐসহ ব্যাপক জীবনহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। উদ্ধারকর্মীদের এই অভিযোগের ব্যাপারে রাশিয়া কিংবা দমেস্ক সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার মন্তব্য করা হয়নি।
সিরিয়ার শায়রাত বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির বিমান শক্তির ২০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের খান শেইখৌন শহরে সরকারি বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার হোমস প্রদেশের ওই বিমান ঘাঁটিটিতে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে রাসায়নিক হামলা চালানো কথা অস্বীকার করেছে সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, সিরিয়াকে আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কুপরামর্শ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইতালিতে জি-৭ দেশগুলোর বৈঠকে ম্যাটিস একথা বলেছেন। দুই দিনের ওই বৈঠকে মিত্র সিরিয়ার কাছ থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে আনতে রাজি করানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এখানে ম্যাটিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সিরীয় বিমান ঘাঁটিটির জ্বালানি ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার স্থানগুলো, বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং অভিযান চালাতে সক্ষম সিরীয় জঙ্গি বিমানগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, সিরীয় সরকার শায়রাত বিমানক্ষেত্রে জঙ্গি বিমানে জ্বালানি ভরার ও নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত করার সামর্থ্য হারিয়েছে, তাই বিমান ক্ষেত্রটির রানওয়ে সামরিক স্বার্থ বিবেচনায় অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এই হামলা দেখিয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে নিরপরাধ লোকজনকে খুন করলে যুক্তরাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আরো হামলা চালানোর পরিকল্পনা তৈরি আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষিপ্ত ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র ২৩টি শায়রাতে পৌঁছতে পেরেছে এবং এতে সিরীয় বিমান বাহিনীর ছয়টি মিগ-২৩ জঙ্গি বিমান ও অনেকগুলো ভবন ধ্বংস হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, এবং যুক্তরাজ্য। আসাদের বিরুদ্ধে একজোট হতে ইতালি এই সাত দেশের সঙ্গে তুরস্ক, সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং কাতারকেও সম্মেলনে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানায়। এ দেশগুলোর প্রত্যেকটিই আসাদের শাসনের বিরোধী। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ