Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আমাদের এমনভাবে সোচ্চার হতে হবে যাতে তুরস্কের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণদের বুক কেঁপে ওঠে

ইস্তাম্বুলে লাখো মানুষের সমাবেশে এরদোগান

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আল জাজিরা : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সমর্থনে শুক্রবার ইস্তাম্বুলে এক সমাবেশে লাখ লাখ লোক উপস্থিত হয়। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের লক্ষে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ এপ্রিল এ গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে যে সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে তা অনুমোদিত হলে তুরস্ক সংসদীয় পদ্ধতি থেকে নির্বাহী প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হবে যাতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাবে।
এরদোগান উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ পর্যায়ে শুধু সাংবিধানিক পরিবর্তন অনুমোদনই আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। আমাদের আরো অনেক বড় দায়িত্ব আছে।
তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলের এমনভাবে হ্যাঁ বলা উচিত যে যাতে যারা তুরস্কের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ তাদের বুক কেঁপে ওঠে যাদের মধ্যে রয়েছে ৯৯ বছর আগে এ পবিত্র নগরকে কলুষিতকারীরাও। এ কথার মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম মহাযুদ্ধের পর দখলদার ইউরোপীয় শক্তিদের বুঝিয়েছেন।   
তুর্কি কর্মকর্তারা গত মাস থেকে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডের সাথে বাকযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ দু’টি রাষ্ট্র তরস্কের গণভোট উপলক্ষে সে দেশের মন্ত্রীরা তাদের সীমান্তের মধ্যে কোনো রকম প্রচারণা সমাবেশ করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এরদোগান ও তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (এ কে পার্টি) বলেছে, এ নয়া ব্যবস্থা তুরস্ককে আরো দক্ষ ও স্থিতিশীল করবে।
তুরস্কের দু’ বৃহত্তমবিরোধী দল ও সমালোচকরা বলেন, এই সংশোধন এক ব্যক্তির হাতে খুব বেশি পরিমাণ ক্ষমতা তুলে দেবে এবং সরকারের ক্ষমতার পৃথকীকরণকে ব্যাহত করবে।  
সমাবেশে এরদোগান বলেন, তুরস্কের বর্তমান পদ্ধতি অতীতে বহু স্বল্পমেয়াদি সরকারের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মহাযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জন প্রেসিডেন্ট এসেছেন। একই সময়ে আমাদের সরকারের সংখ্যা হচ্ছে ৪৮।  ফ্রান্সে ১১ জন প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটেনে ১৫টি সরকার এসেছে।  
তিনি বলেন, ৪৮টি সরকার আমাদের গণতন্ত্রের কোনো শক্তি প্রকাশ করে না, বরং অস্থিতিশীলতারই পরিচয় দেয়।
এরদোগান এ কে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। দলটি সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মানুষকে বোঝাতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।  এ কে পার্টি ১৫ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করছে। ২০০২ সালে রাজনৈতিক সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে দলটি দেশের শাসন ক্ষমতায় আসে। এরদোগান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে পাস করা সংবিধান সংশোধনের প্রেক্ষিতে তিনি জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
মেহমেত কয়লু নামের এক সমর্থক এরদোগানের ছদ্মনাম লম্বা মানুষ উল্লেখ করে বলেন, এরদোগান আমাদের হিরো। তিনি তার দেশ ও জনগণের পক্ষে লম্বা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।  ৫৪ বছর বয়স্ক এ ব্যবসায়ী সংবিধানের পরিবর্তন সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ না করে বলেন, সংবিধান পরিবর্তন তুরস্ককে শক্তিশালী করবে এবং সরকারকে আমাদের আরো ভালো সেবা দেয়ার উপযোগী করবে।
হাতিস ওজদেমির নামে ২৩ বছর বয়স্ক আরেক সমর্থক বলেন, নয়া ব্যবস্থা হুমকির মুখে তুরস্ককে অনেক কম দুর্বল করবে। তিনি বলেন, এমন চক্র আছে যারা দেশকে বিভক্ত করতে চায়। আমরা সন্ত্রাসী ও পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে আরো নিরাপদ হব।



 

Show all comments
  • Mohammod Rahman ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১:১৫ পিএম says : 0
    Great leader
    Total Reply(0) Reply
  • Vubon Sarkar ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১:১৬ পিএম says : 1
    তুর্কি জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • sajid ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৫৯ এএম says : 0
    The great leader for world -humanity and justice . Go proceed. God bless you.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ