চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী (দা.বা.)বলেছেন, ইলমে ওহীর শিক্ষাই হলো প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থা, আর এই শিক্ষাব্যবস্থা যতদিন অব্যাহত থাকবে ততদিন পৃথিবীও টিকে থাকবে। ইলমে ওহীর শিক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে দুনিয়াও ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতন চলছে। মুসলমানরা তাদের আসল পরিচয় ভুলে দুনিয়ার চাকচিক্যে ডুবে রয়েছে। ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে মুসলমানদের কেউ হঠাতে পারবে না। মুসলমানদের ঈমান মজবুত করে আখেরাতের জিন্দেগি গঠন করতে হবে। মুসলমানদেরকে যেনতেনভাবে জীবন পরিচালনা করলে চলবে না, ঈমানের সাথে মৃত্যু না হলে জীবনের কোনো মূল্য নেই। ঈমানের সাথে মৃত্যু হতে চাইলে তাকওয়ার ভিত্তিতে জীবন চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইলমে নববীর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত কওমী মাদরাসাগুলো দুনিয়াব্যাপী মানুষকে তাকওয়ার উপর চলার পথ প্রদর্শন করছে। অনেকেই মাদারিসে কওমীকে গালমন্দ করে, এটা তাদের ঈমানের জন্য চরম ক্ষতিকর। এজন্য ঈমানহারা হয়ে কুফরীর মৃত্যুও হতে পারে। সাহাবিয়্যাত (রা.) মহিলা মাদরাসা দারুল ঊলুম দেওবন্দের নকশে কদমে পরিচালিত একটি খালেস দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এর সাথে সম্পৃক্ততা রাখতে অভিভাবকসহ সকলের প্রতি আহŸান জানান।
সম্প্রতি সাহাবিয়্যাত (রা.) মহিলা মাদরাসার উদ্যোগে রাজধানীর হাজারীবাগস্থ টালি অফিস মোড়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। আল্লামা হাফেজ হিফজুর রহমান (দা.বা.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্লামা হাফেজ আব্দুল আউয়াল (দা.বা.ও) মাদরাসার সভাপতি আল্লামা হাফেজ আব্দুল লতিফ চৌধুরী। মাদরাসা পরিচালক মুফতি ফরীদুদ্দীন মাসউদ ও হাফেজ মাওলানা মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হযরত হাফেজী হুজুর (রহ.)-এর দৌহিত্র মাওলানা আশরাফুজ্জামান, মুফতি রফিকুন্নবী হাক্কানী, মুফতি আব্দুল মান্নান, মুফতি আব্দুল আজিজ, মুফতি মো. আবু হানিফ, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মাওলানা হাসান মিসবাহ।
নেজামে ইসলাম পার্টি
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি জননেতা আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী এক বিৃবতিতে বলেছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে কোরআনের কোন সম্পর্ক ছিল না। ডা. কালিদাস বৈদ্য তার ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালের শেখ মুজিব’ বইয়ে সূরা তওবার ৫নং আয়াত, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াত, সূর আনফালের ৩৯ নং আয়াত, সূরা মোহাম্মদ এর ৪নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ দেশের মুসলমানরা আল্লাহর হুকুম হিসেবে এই আয়াতগুলি তামিল করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে, হিন্দুদের বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দিয়েছে, হিন্দু নারীদের নির্যাতনের পর ধর্ষণ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ হিন্দু হত্যা হয়নি, পবিত্র কোরআনের আয়াতে দোহাই দিয়ে কোন হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি বা হিন্দুদের বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দেয়া হয়নি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কোরআনের আয়াত ১৯৭১ সালে হিন্দুদের হত্যা তাদের বাড়িঘর লুণ্ঠন বা হিন্দু নারীদের ধর্ষণের জন্য নাজিল হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।