Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়া নিয়ে শঙ্কা তবুও ডিম সংগ্রহকারীদের আশার প্রহর

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী : আকাশে মেঘের গর্জন নেই, মুষলধারে বৃষ্টিও নেই, নেই পাহাড়ি ঢলও তবে আজ পূর্ণিমার ‘জো’ মা মাছ ডিম দেয়ার একটা তিথি। হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার এখনি সময়। কিন্তু বৃষ্টি ছাড়াই নদীতে মা মাছ ডিম দেয়ার পরিবেশ লক্ষ্য করতে পারছেনা ডিম সংগ্রহকারীরাসহ সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এর পরও হালদার তীরবর্তী ডিম সংগ্রহকারীরা বসে নেই তাদের নজর বর্তমানে হালদা নদীতে। তারা ডিম ধরার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত।
হালদা নদী থেকে ডিম আহরণ করে সনাতনী পদ্ধতিতে রেণু ফুটানোর জন্য মাটির ক‚য়া পরিষ্কার পরি”্ছন্নের কাজ ডিম সংগ্রহকারীরা ঠিক করে রেখেছে। তার পাশাপাশি নৌকা, জাল, বালতি ও বড় পাতিলসহ নানান সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে কখন মা মাছ ডিম দেয় এই আশায়। এখন শুধু আগামী তিথি পর্যন্ত প্রহর গুনছে ডিম সংগ্রহকারীরা। এছাড়া মৎস্য হ্যাচারি গুলোতে মাটির কুয়ার পরিবর্তে প্লাস্টিকের ট্যাংকসহ পাকা ট্যাংক গুলো তৈরি করে রেখেছে। যদি বৃষ্টি-বাদল ছাড়া হালদা নদীতে মা মাছ গুলো ডিম ছাড়ে। সেজন্য হ্যাচারি গুলোতে ট্যাংক এর উপর ঝর্ণা তৈরি করে রেখেছে। যাতে কৃত্রিমউপায়ে বৃষ্টির মতো রেণু ফুটানোর ট্যাংক গুলোর উপর থেকে পানি দিতে পারে গত কয়েকদিনে বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন থাকলেও কিন্তু ‘জো’ না থাকায় হালদার মা মাছ ডিম দেয়নি। এশিয়ার এই মিষ্টি পানির জোয়ার ভাটার নদী হালদাতে প্রতি মৌসুমে রুই জাতীয়সহ নানান প্রজাতির মাছ ডিম দেয়। গত ৩০ মার্চ সামন্য ডিমের নমুনা পাওয়া গেলেও সংগ্রহকারীরা তা আবার নদীতে ফেলে দেয় বলে জানা যায়।
স্থানীয় কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী জানান, আজ (১০ এপ্রিল) পূর্ণিমার ‘জো’ শুরু হবে। এই ‘জো’ ১৭এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে। এ সময়টুকুতে হালদা নদীর মিষ্টি পানিতে মাতৃমাছেরা ডিম দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই ‘জো’র সময়ে মা মাছ ডিম দিলে এই ডিম উন্নত বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামীকাল (আজ) পূর্ণিমার জো যদি মুষলধারে বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন শুরু হলে এই পূণির্মা তিথিতে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার সময় রয়েছে। তিনি আরো জানান ‘জো’ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভবনা দেখা যাচ্ছেনা। হাটহাজারী হালদা নদীর তীরবর্তী মদুনাঘাট এলাকার ডিম সংগ্রহকারী আশু বড়–য়া জানান, বর্তমানে হালদা নদীতে মা মাছের ডিম দেয়ার সময়। এমন কি পূর্ণিমার ‘জো’ চলছে কিন্তু মা মাছ ডিম ছাড়ার কোন আলামত পাওয়া যাচ্ছেনা। প্রতি মৌসুমে মা মাছ তিন দফা ডিম দেয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এক দফাও ডিম দেয়নি। এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র জোয়ার ভাটার হালদা নদীর মিষ্টি পানিতে প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ ডিম দিয়ে থাকে। এই ডিম থেকে রেণু ফুটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রয় করে প্রচুর অর্থ আয় করে ডিম সংগ্রহকারীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালদা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ