পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজননক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা কার্প জাতীয় (রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউস) মা মাছ। গত বৃহস্পতিবার নদীর জোয়ারের সময় রাত ১টা থেকে সকাল পর্যন্ত মা মাছ হালদা নদীর নাপিতেরঘাট অংশে ডিম ছাড়লেও ডিম সংগ্রহকারীরা মাছুয়াঘোনা টেক, কাটাখালির মুখ ও নয়াহাট অংশে থেকে সংগ্রহ করে। ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা প্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালের পর কিছু কিছু ডিম সংগ্রহকারী নদী থেকে উঠে গেলেও অনেকেই নৌকা, বাঁশের ভোরকা ও মাছ ধরার জাল নিয়ে নদীতে অবস্থান করছেন। তবে এর আগেই মাছুয়াঘোনা হ্যাচারিতে ৬০০ কেজি, শাহমাদারিতে ৩০০ কেজি, মদুনাঘাট হ্যাচারিতে ৬০ কেজি ও রাউজান উপজেলার মোবারকখীল হ্যাচারিতে ৩০০ কেজি, বেসরকারি সংস্থা আইডিএফে ৪৫০ কেজিসহ মোট ১ হাজার ৭১০ কেজি ডিম সংরক্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যে রেণু ফোটানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এ দফার ডিম পরিপক্ক। তাই খুব দ্রুত ফুটে যাবে বলে ডিম সংগ্রহকারীরা জানান। মাছুয়াঘোনার ডিম সংগ্রহকারী শফি, হোসেন, লোকমানসহ কয়েকজন সংগ্রহকারী বলেন, আমরা খুব খুশি। এবারের ডিমও পরিপক্ক। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হালকা ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিতে পাহাড়ের পানি প্রবেশ করায় মা মাছ তার পরিবেশ পেয়ে পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিচ্ছে। আশা করছি আরো ডিম সংগ্রহ করতে পারব। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) পিযুষ প্রভাকর এ প্রতিবেদককে বলেন, দুপুরের পর ডিম সংগ্রহকারীরা আবারো নদীতে আছেন। সবার জালেই ডিম আসছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম বলেন, সকাল থেকেই হালদা পাড়ে অবস্থান করছি। সব কিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংগ্রহকারীরা জানাচ্ছেন ডিম আরো পাওয়া যাবে। আমাদের সরকারি তিনটি হ্যাচারি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনটিতেই এক হাজার কেজির উপরে ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। আশা করছি, এ জোতে ডিম সংগ্রহকারীরা আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ করতে পারবেন। এদিকে গত মঙ্গলবার রাত আটটার পর থেকেই ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে অবস্থান করছেন। পুরোদমে ছাড়ার আগে তিনদিনই নমুনা ডিম পাওয়া গেছে। আজ শনিবার চলমান জোয়ের শেষ দিন। জো চলাকালীনই বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হওয়ায় পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। চলতি মাসের শেষের দিকে আরেকটি জো রয়েছে। এর আগে মে মাসে প্রথম দফা সংগৃহীত ডিম থেকে প্রায় ৫০ কেজি রেণু উৎপাদন হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।