বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইনকিলাব ডেস্ক : বড় বিনিয়োগকারীরা কিছুটা পর্যবেক্ষণে থাকায় বর্তমানে সূচক কিছুটা নেতিবাচক। কিন্তু মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কেননা সূচক যে হারে বেড়েছিল সে হারে কিছুটা সংশোধন হবে এটা নতুন কিছু নয়। তবে আগের তুলনায় প্রফিট তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যে কিছু কিছু কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সামনেই হয়তো আর্থিক বছর সম্পন্ন করা বাকী কোম্পানিগুলোও ডিভিডেন্ড এবং প্রান্তিক শেষ করা কোম্পানিগুলো ইপিএস প্রকাশ করবে। এর মধ্যে বাজারে একটু সেল প্রেসার দেখা দিয়েছে, আর সেটা পরবর্তীতে বাই দেয়ার জন্যও হতে পারে। তবে পরিস্থিতি যাই থাকুক না কেন লংটার্মের জন্য এখনই বিনিয়োগের উপযুক্ত সময় বলে ধারণা বাজার সংশ্লিষ্টদের। কারণ কিছু কিছু কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিবেচনায় প্রফিট গেইন করার দারুণ সুযোগ রয়েছে। ফলশ্রুতিতে যেসব কোম্পানি ভাল ডিভিডেন্ড দেয় সেগুলোর শেয়ার দর ইন্ডিভিজুয়ালী বাড়ছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোও বাজারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তাই সাময়িক পতন দেখে অযথা টেনশনের কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে সরকারেরও উচিত ভাল কোম্পানিগুলো শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা। মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো বাজারে আসলে শেয়ার বাজার অনেক শক্তিশালী হবে। এছাড়াও বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীরা যত বেশী সচেতন হবে, তত বেশী লাভবান হবে। পুঁজিবাজারে ‘কারসাজি চক্রে’র কবল থেকে বাঁচতে বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার কোনো বিকল্প নেই। পুঁজিবাজারে লাভবান হতে যথাযথ জ্ঞান প্রয়োজন বিনিয়োগকারীদের, এছাড়া ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিসের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে ঝুঁকি কোথায় সেটা আগে জানতে হবে। পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হওয়া চাই। কোম্পানির আর্থিক বিবরণী এবং আর্থিক প্রতিবেদন পড়ে কোম্পানির সবলতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে সচ্ছ ধারণা নিতে হবে। সর্বোপরি দক্ষ ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির মাত্রা কমে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। পাশাপাশি গুজবে কান না দিয়ে সঠিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিলেই লাভবান হওয়া যায়। বিনিয়োগ করার আগে মার্কেট ট্রেন্ড এবং কোম্পানির ব্যবসায়িক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে হবে বলেও ধারণা করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও দেড় ঘন্টা পর বিক্রয় চাপে টানা পতনের কবলে পড়ে সূচক এবং শেষের দিকে কয়েকবার ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েও ব্যর্থ হয়। রোববার সূচকের পাশাপাশি লেনদেনকৃত বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দরই কমেছে। আর টাকার অংকেও লেনদেন হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৭০০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩০৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১১৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৭৭৭ কোটি ২৩ লাখ ২২ হাজার টাকা। অথচ এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৭৩৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩১২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৩৪ পয়েন্টে। দিনশেষে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
এদিকে, গতকাল দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকেও কিছুটা দর পতন হয়েছে। এদিন সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৩ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। গতকাল সিএসইতে ৪২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।