গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমগ্র পৃথিবীতে নারীর ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। আজকে আমাদের দেশে নারীদের প্রতিটি জায়গায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উপস্থিতি দেখতে পাই। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘গণমাধ্যম ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্পিকার বলেন, গণমাধ্যমে নারীদের ভূমিকা আজ ঈর্ষণীয়। এটা একটা কঠিন পেশা। সাহসিকতা, দৃঢ়তা, মনোবল দিয়ে এরকম একটা পেশা তারা বেছে নিয়েছেন।
ড. শিরিন শারমিন বলেন, অনেকে বলেছেন এ পেশায় আসার পর নারীদের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি মনে করি, এটা যে কোনো পেশার নারীদেরও হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুরুষের মতো নারীরাও নির্বাচিত হতে পারে, সে অবস্থা এখনও আসেনি। এটা কেবল জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে নয় সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যতদিন নারীদের মুলধারায় নিয়ে আসা যাবে না ততদিন কোটা সিস্টেম থাকতেই পারে। নারী সম্পাদকের পদ থাকার প্রয়োজন আছে কিনা? এ ব্যাপারে বক্তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্পিকার বলেন, নারী সম্পাদক একটি পদ। এটির প্রয়োজনীয়তা আছে। নারীদের এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করবে। কিন্তু নারী সম্পাদক কি পুরুষ থাকতে পারে না?
স্পিকার বলেন, আমি নারী এজন্য আমি গর্বিত। আমি মা এজন্যও আমি গর্বিত। কিন্তু নারী হিসেবে বৈষম্য করলে এতে আমার আপত্তি আছে।
তিনি বলেন, নারীদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ উন্মুক্ত করে দিতে হবে, একদিকে সুযোগ অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নারীদের সমান ভূমিকা থাকতে হবে। এত বড় জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।
স্পিকার নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারীদের নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরকেই পরিবর্তন করতে হবে। নারীরা যত বেশি সাহস করে সমাজের বিভিন্ন কর্মকা-ে এগিয়ে আসবে তত বেশি তারা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের সহযোগিতা পাবে।
তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেলে তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং তারা নীতি নির্ধারনী ক্ষেত্রে অধিকতর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। তিনি নারী ও পুরুষকে পরস্পরের পরিপূরক আখ্যায়িত করে বলেন, কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র আরো বেশি শক্তিশালী হবে।
সাংবাদিকতা পেশাকে নারীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শক্তিশালী সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। বরং তাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন ও মনোভাব পরিবর্তন করা গেলে নারীদের জন্য কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হবে। তিনি নারীদের জন্য শিক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউর মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুমি খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য ওয়াশিকা আয়েশা খান, সাংবাদিক আজমল হক হেলাল, নাদিরা কিরন, ডিআরইউর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।