Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মূর্তি অপসংস্কৃৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে ঈমান থাকবে না, মুসলমানিত্ব থাকবে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ ও অপসংস্কৃতির ধারক জঘন্য ভারতীয় চ্যানেলসহ সকল অশ্লীল ও অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা ঈমান রক্ষার স্বার্থে মূর্তি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। ইসলাম এসেছে মূর্তির বিরুদ্ধে। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মূর্তির বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, রাসূল (সা.) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফটকে রাসূল (সা.) নাম সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও আইনপ্রণেতা রূপে কোনো মূর্তির অবস্থান নেই। কোনো মুসলিম দেশেও এরূপ কোনো নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন মূর্তি থাকবে। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় জানমাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামী জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না। গত ৪ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর গেন্ডারিয়াস্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আলামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আলামা মুফতি আবদুল কুদ্দুস, পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)-এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মুফতি জাফর আহমদ পীর সাহেব ঢালকানগর, মুফতি রুহুল আমীন কাসেমী, শায়কুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতি মাহদী হাসান, মুফনি বিন ইয়ামিন কাসেমীসহ দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সংশোধিত সিলেবাস ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। নাস্তিক্যবাদীদের যে কোনো চক্রান্ত কঠোরহস্তে দমন করতে হবে।
৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা ভ‚লুণ্ঠিত করে গুটিকয়েক নাস্তিক-মুরতাদের মনোবাসনা অনুযায়ী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মের ছেলেমেয়েরা হিন্দু ধর্মীয় বিষয়াদি পড়বে, এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু মুসলমান ছেলেমেয়েদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় বিষয়াদি যেভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তা কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। বিষয়টি অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক। এই উসকানিমূলক জঘন্য কাজ যারা করেছে ক্ষমতাসীনরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে শুধু সরকারকেই নয়, গোটা জাতিকে এর মাশুল দিতে হবে।
মূর্তি অপসারণ করতে হবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দীন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। সন্ত্রাস, দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে মানুষ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে সকলকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ফিরে আসতে হবে। দীন প্রতিষ্ঠায় কর্মীদের আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে আজ ইসলামের অবস্থা বড়ই নাজুক। ইসলাম না থাকায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মূর্তির সংস্কৃতি চালু করে মানুষকে শিরকে লিপ্ত করাতে চাচ্ছে। মূর্তির সংস্কৃৃতি থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।
সম্প্রতি পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা শাখার কর্মী তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা জেলা সভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আলহাজ শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী তারবিয়াতে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বিশেষ আলোচক ছিলেন দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া। তারবিয়াতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ হানিফ মিয়া, আলহাজ হাফেজ জয়নুল আবেদীন, আব্দুর রাজ্জাক বেপারী, জয়েণ্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহা. হাসমত আলী, মাওলানা নূর হোসাইন, মুফতি আব্দুল করীম, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতি ইজহারুল ইসলাম, হাজী আব্দুল মালেক, ডা. দেলোয়ার হোসেন, টিএম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী। যারা মূর্তির সংস্কৃতি লালন করে তারা ঈমানদার হতে পারে না। অবিলম্বে এই মূর্তি সরাতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ