বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া অফিস : বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া সেই নবজাতক (তিন দিনের শিশু) পুলিশের চেস্টায় ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলেও গত ৬ দিনেও নবজাতক চুরির ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। সেই সাথে ওই হাসপাতাল থেকে একের পর এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটলেও চোর সিন্ডিকেট থেকে যাচ্ছে অধরাই।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, এর আগে ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছিল। গ্রেফতার হয়েছিল এক মহিলা কর্মচারী। এরপর মামলাটির ফলোআপ কি কেউ তা বলতে পারে না। অভিজ্ঞ মহল ও অপরাধ বিজ্ঞানীদের ধারণা, পুলিশ নবজাতক চুরির ঘটনায় শিশু চুরির সিন্ডিকেট শহরতলীর বারপুরের রত্ন ও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, নবজাতক চুরির ঘটনায় উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাছাড়া নবজাতকের পিতা রুবেল উদ্দিন বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করেনি। ফলে অপরাধীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বগুড়া শহরের ঝোপগাড়ি এলাকার রুবেল উদ্দিনের স্ত্রী হোসেন আরা বেগম বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। ১ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে হাসপাতাল চত্বর থেকে রত্না নামে এক মহিলা অভিনব কায়দায় ওই নবজাতককে চুরি করে নিয়ে যায়। গত ২ এপ্রিল পুলিশের অভিযান দল বগুড়ার গাবতলীর মাঝবাড়ির ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বিকেল ৫টার দিকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে। এ প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নবজাতক শিশুটির পিতা বগুড়া শহরের ঝোপগাড়ির রুবেল উদ্দিন বলেন, আমার সন্তান হাসপাতাল থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। সন্তান পাওয়ার পর মামলা করিনি। বগুড়া সদর থানার ওসি তদন্ত আসলাম আলী বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় মামলা হয়নি। শিশু চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করেছে শিশুটিকে জীবিত সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের জন্য। সেই লক্ষ্য অর্জনের পর শিশু চুরির সাথে যারা জড়িত তাদেরও গ্রেফতার করা হবে অচিরেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।