Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘অধরাই’ থাকছে রিজার্ভ চুরির হোতারা

প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির হোতাদের শনাক্ত করতে কয়েকটি দেশ মিলে তদন্তে নামলেও তার সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক এক কর্মকর্তা। শন কানুক নামে এই সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ফিলিপিন্সের এই সরকারি তদন্তে দৃঢ় কোনো অবস্থান দেখতে না পাওয়ার কথাই জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে গত মে মাসে অবসরে যান কানুক। সীঙ্গাপুরে নিরাপত্তাবিষয়ক এক সংলাপের ফাঁকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের আট কোটি ১০ লাখ ডলার গেছে ফিলিপিন্সে। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই, ফিলিপিন্সের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ সংস্থা এবং বাংলাদেশের সিআইডি-এর তদন্ত করছে।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের একটি কমিটি, ফিলিপিন্সের সিনেটের একটি কমিটি এবং বাংলাদেশ সরকার গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও আলোচিত এই ঘটনার তদন্ত করছে। এই সাইবার অপরাধের হোতাদের তদন্তকারীরা খুঁজে বের করতে পারা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে শন কানুক রয়টার্সকে বলেন, তারা কখনও সফল নাও হতে পারে।
বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি জানলেও অবসরের আগে তার তদন্তের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না বলে জানান তিনি। কানুক বিশ্বাস করেন, অত্যাধুনিক কোনো অপরাধী গোষ্ঠী অথবা কোনো ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ এই রিজার্ভ চুরিতে জড়িত। এ ধরনের ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বা নগদ মুদ্রার তহবিলের জন্য এমন কাজ করে, যোগ করেন তিনি।
সাইবার নিরাপত্তাদাতা সংস্থা বিএই সিস্টেমস বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা যে ম্যালওয়্যার বসিয়েছিল, তা তাদের কাজের সব চিহ্ন মুছে দিয়েছে। একই ধরনের ২০১৪ সালে সনি কর্পোরেশনও একইভাবে আক্রান্ত হয়েছিল, যার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করা হয়।
দেশগুলোর তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইবার অপরাধীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে ইঙ্গিত করে কানুক বলেন, এই জল এখন অনেক কর্দমাক্ত, এটি বেশ জটিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘অধরাই’ থাকছে রিজার্ভ চুরির হোতারা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ