Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খুলনা চেম্বার নির্বাচনে ভোট ছাড়া পরিচালক ১৮ জন ফের সভাপতি হচ্ছে কাজী আমিন

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে ভোট ছাড়াই পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন ১৮ জন ব্যবসায়ী। বাণিজ্যিক গ্রæপের তিনটি এবং সাধারণ শ্রেণির ১৫টিসহ মোট ১৮টি পরিচালক পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী বোর্ড তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে সহযোগী শ্রেণির ৬টি পরিচালক পদে ১২ জন প্রার্থী থাকায় এই পদগুলোয় আগামী ২৬ এপ্রিল ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে চতুর্থ বারের মতো চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন কাজী আমিনুল ইসলাম। যদিও ভোট শেষে নির্বাচিত ২৪ জন পরিচালক ৩০ এপ্রিল তাদের মধ্যে থেকে একজনকে সভাপতি ও তিনজনকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন।
চেম্বার সূত্র জানান, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের ২৪টি পরিচালক পদে বাণিজ্যিক গ্রুপের তিনটি পরিচালক পদে চারজন, সাধারণ শ্রেণির ১৫টি পরিচালক পদে ২৩ জন এবং সহযোগী শ্রেণির ৬টি পরিচালক পদে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনে বেশ আগে থেকেই তৎপরতা শুরু হয়। তবে কয়েকজন পরিচালক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানানো হয় প্রক্রিয়াটি ঝুলে যায়। এছাড়া সাধারণ ব্যবসায়ীরাও সমঝোতার বিপক্ষে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক গ্রুপের একজন এবং সাধারণ শ্রেণির ৮ জন পরিচালক মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য হন। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন ১৮ জন পরিচালক। বাণিজ্যিক গ্রুপে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সহ-সভাপতি গোপী কিষণ মুন্ধড়া ও এ্যাড. সাইফুল ইসলাম।
সাধারণ শ্রেণিতে ১৫টি পরিচালক পদে মোঃ সাইফুল ইসলামের প্যানেলের ৫ জন এবং কাজী আমিনুল হক প্যানেলের ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। মোঃ সাইফুল ইসলামের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন জেড এ মাহমুদ ডন, মফিদুল ইসলাম টুটুল, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, ফকির সাইফুল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস। এছাড়া কাজী আমিনুল হকের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান, পরিচালক শেখ আসাদুর রহমান, আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন, এমএ মতিন পান্না, কাজী মাসুদুল ইসলাম, মোঃ আবুল হাসান, বদরুল আলম মার্কিন, মোস্তফা কামাল পাশা, সিরাজুল হক, শেখ আল্লামা ইকবাল তুহিন। নির্বাচিত কিছু পরিচালক ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এ প্রক্রিয়ায় মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন।
তারা জানান, ভোট হলে ব্যবসায়ীরা সদস্য হয়, চেম্বারের আয় বাড়ে। এবার ভোট হচ্ছে বলেই রেকর্ডসংখ্যক সদস্য নবায়ন করেছেন। এছাড়া ভোটে জিতলে নির্বাচিত পরিচালকরা ভোটারদের কাছে জবাবদিহিতা থাকে। বিগত ৬ বছর সাধারণ ব্যবসায়ীরা ভোটে জিতে পরিচালক হয়েছেন। রাজনৈতিক কোটা ভাগাভাগী করে পরিচালক পদ দেয়া-এই সংস্কৃতি একবার চালু হলে পরবর্তীতে তা চলতেই থাকবে। এতে ব্যবসায়ীরা চেম্বার-বিমুখ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ