মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আট মাস আগে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করেন, দলে খুব কম লোকই ছিলেন যারা তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। ট্রাম্প একসময় ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক ছিলেন। বিল ও হিলারি ক্লিনটনের বন্ধু হিসেবে তাদের নির্বাচনী তহবিলে মোটা চাঁদা দিয়েছেন। তিনি তিন-তিনবার বিয়ে করেছেন এবং ভুলেও চার্চমুখী হননি। গর্ভপাত থেকে সমকামী বিয়েসহ অধিকাংশ উদারনৈতিক পারিবারিক মূল্যবোধ প্রশ্নে তার সমর্থন সুবিদিত। এমন লোক কীভাবে রক্ষণশীল ও ধর্মবিশ্বাসী রিপাবলিকান সমর্থকদের মন ভোলাবেন? অথচ সেই ঘটনাই ঘটেছে।
বাছাই পর্যায়ের প্রথম চারটি নির্বাচনের তিনটিতেই সহজেই ট্রাম্প জিতেছেন। অধিকাংশ জনমত গণনায় দেখা যাচ্ছে, সব শ্রেণির ভোটার, এমনকি নারী ও ইভানজেলিক্যালদের (খ্রিস্টানদের একটি অংশ) মধ্যেও তিনি এগিয়ে। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, তাকে ঠেকানো অসম্ভব হবে। তেমন আশঙ্কা মাথায় রেখে ফ্লোরিডার সিনেটর ও রিপাবলিকান এস্টাবলিশমেন্টের পছন্দের মার্কো রুবিও হুমকি দিয়েছেন, জুলাই মাসে দলের কনভেনশনে যেখানে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী চূড়ান্ত হবে, তিনি একক প্রার্থী বাছাইয়ের বিরোধিতা করবেন। রুবিও বলেছেন, যেকোনো মূল্যে ট্রাম্পকে ঠেকাতে হবে, লিঙ্কন ও রিগানের দলের হয়ে এমন এক ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেন না।
অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, ভয়াবহ কোনো কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে না গেলে ট্রাম্পকে ঠেকানো অসম্ভব হবে। গত শনিবার নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ট্রাম্পকে ঠেকানোর রণকৌশল নিয়ে দেনদরবার চালিয়েছেন। জর্জ বুশের দুটি নির্বাচনী বিজয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কার্ল রোভ। তিনি দলের নেতাদের সাবধান করে দিয়েছেন, ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী হলে শুধু যে হিলারি ক্লিনটনের বিজয় ঠেকান অসম্ভব হবে তা-ই নয়, সম্ভবত সিনেটে বর্তমান রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণও ফসকে যাবে। টাইমস আরও জানিয়েছে, রক্ষণশীল নেতা পল লেপেজ বিভিন্ন রাজ্যের রিপাবলিকান নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন অবিলম্বে তাদের রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ক্ষতিকর রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রত্যাখ্যান করার আবেদন রাখেন। কিন্তু সে কথা কাজে লাগেনি। ট্রাম্পকে নিয়ে ভয়ের কারণ হলো, নিম্ন আয়ের ও স্বল্প শিক্ষিত শ্বেতকায় ছাড়া অধিকাংশ নির্বাচক গ্রুপকে তিনি খেপিয়ে তুলেছেন।
মেয়েদের তিনি শূকরের সঙ্গে তুলনা করেছেন, মেক্সিকানদের ধর্ষক ও মাদক ব্যবসায়ী বলে তিরস্কার করেছেন, মুসলমানদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী বলে গাল দিয়েছেন। সাধারণ নির্বাচনের সময় এসব গ্রুপের সমর্থন ছাড়া এক শ্বেত ভোট নিয়ে জেতা অসম্ভব। সর্বশেষ জনমত গণনায় দেখা যাচ্ছে, আফ্রিকান-আমেরিকান ও মেক্সিকানদের প্রতি ১০ জনের ৮ জন ট্রাম্পের বিপক্ষে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।