পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে সরকারকে রাজস্ব হিসেবে দিয়েছে সাত কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ডিএসইর মাধ্যমে দুই খাত থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়। ১৯৮৪ সালের ট্যাক্স অর্ডিন্যান্সের ৫ বিবিবি ধারা অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডার বা ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে রাজস্ব আদায় করে ডিএসই।
আর ৫৩ বি ধারা অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার লেনদেন থেকে রাজস্ব আদায় হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ২৩ কোটি ৬১ লাখ ২৪ হাজার ৩০১ টাকা। মার্চে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৯১ টাকা। এর মধ্যে মার্চে ডিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪৭ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার ৬০ টাকা। সেই হিসাবে মার্চে ডিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব বেশি দিয়েছে দুই কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮৭ টাকা।
উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে মার্চে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৫২ লাখ ৩২ হাজার ৪৪ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এ খাতে রাজস্বের পরিমাণ ছিল চার কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ২৪১ টাকা। অর্থাৎ মার্চে উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৩ টাকা।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত কার্যদিবসের চেয়ে সূচক কমে হয়েছে কার্যক্রম। তবে ডিএসইর লেনদেন গত কার্যদিবসের চেয়ে বাড়লেও কমেছে সিএসইর লেনদেন। ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক ৩৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমেছে।
উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৭৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮৯ কোটি ৬৩ লাখ। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৯৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৫৬ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩১৭ পয়েন্টে এবং ৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১৭৬টির এবং কোনো পরিবর্তন হয়নি ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। এ ছাড়া টাকার অঙ্কে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো সিটি ব্যাংক, বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, আইডিএলসি, বেক্সফার্মা, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, আরএসআরএম স্টিল, নাভানা সিএনজি, স্কয়ার ফার্মা এবং অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল।
অন্যদিকে সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ৬৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৮৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং সিএসইতে গত কার্যদিবসের চেয়ে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বেশি।
সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৩৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৬০ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩২৯ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৪৩টির এবং কোনো পরিবর্তন হয়নি ২০টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার অঙ্কে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, জিপিএইচ ইস্পাত, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সফার্মা, রিজেন্ট টেক্সটাইল, বিএসআরএম স্টিল, ইউসিবিএল এবং ডিবিএইচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।