পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গেল সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজার বড় ধরনের মন্দার মধ্যে দিয়ে পার করেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে। বড় অঙ্কের মূলধন হারানোর পাশপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। আগের সপ্তাহও মন্দার মধ্যদিয়ে পার করে দেশের শেয়ারবাজার। এতে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমে ২ হাজার কোটি টাকা। ফলে টানা দুই সপ্তাহে ১২ হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারালো ডিএসই।
গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে অর্থের পরিমাণও কমে যায়।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গেল সপ্তাহে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার ১১গুণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৮টির। আর ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে গত সপ্তাহে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬৭ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ টানা দুই সপ্তাহের পতনে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২৬৬ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি কমেছে ৪৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও টানা পতনের মধ্যে রয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি কমেছে ১৯ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪৮ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৮১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩০১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে কমার কারণ গত সপ্তাহে ঈদে মিলাদুন্নবীর কারণে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭৫ কোটি ৮১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৮৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ৩১৩ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, এনআরবিসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, জিনেক্স ইনফোসিস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।