Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বালাগঞ্জ (সিলেট) : উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে ঝড়-তুফানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি, দোকানপাটের চালা উড়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ১৭শ’ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়। ভেসে গেছে চাষিদের পুকুরের মাছ।
জানা যায়, গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও স্কুলের চালা উড়ে গেছে। ভেঙে গেছে গাছপালা। ১৭শ’ হেক্টর বোরো ধান পানির নিচে। বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গেছে। ২৫টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এতে দুই উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে আলিম ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছেন। ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের হস্তিদুর পশ্চিম জামে মসজিদের নারিকেলগাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের মেইন লাইন ছিঁড়ে গেছে। যার ফলে পুরো এলাকা এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎকর্মীরা বিরতিহীনভাবে বিদ্যুৎ সচল রাখতে মাঠে কাজ করছেন বলে সিলেট-১ কাশিকাপন অফিসের ডিজিএম জানিয়েছেন। এদিকে গত শুক্রবারের ঝড়-তুফানে বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান আব্দুর রহিম কলেজ অ্যান্ড হাইস্কুলের ভবনের চালা উড়ে যায়। এতে ক্ষতি হয় প্রায় ৬ লাখ টাকা। কলেজের চালা উড়ে যাওয়ার কারণে ১টি ল্যাপটপ, ২টি প্রজেক্টর, ১টি কম্পিউটার, ১টি লেজার প্রিন্টার, ১টি পারটেক্স টেবিল ও জরুরি কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা।
পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের। এতে প্রায় ১৭শ’ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়। ভেসে গেছে চাষিদের পুকুরের মাছ। উপজেলার কালাসারা হাওর, রৌয়ার হাওর, চাতল হাওর, রুনিয়া হাওর, লেংড়ার হাওর, হাউনিয়া হাওর, মুক্তারপুরের হাওর, নলুয়া হাওর, গোড়াপুর হাওর, ছাউনিয়া রুনিয়া, মাইজ আইল হাওর, সাদীপুর ইউনিয়নের হলিমপুর হাওর ও বানাইয়া হাওরের একাংশ, আদমপুর হাওর, কুরিয়াবন হাওর, ষাইটদা হাওর, বড় বন হাওর, লেংড়ার হাওরের একাশ, বানাইয়া হাওর, মান্দারুকা, মাটিহানি, হাউসপুর সংলগ্ন হাওরের নিচু জমি অকাল বর্ষণের পানিতে তলিয়ে গেছে। অকাল বর্ষণে সারা বছরের সম্ভাব্য খাদ্য বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় এসব হাওরপাড়ের লোকজনের মধ্যে হাহাকার বিরাজ করছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, দুই উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৬৫ হেক্টর বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। গত ৪ দিনের টানা বর্ষণে প্রায় ১৭শ’ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওসমানী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ