Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টির অপেক্ষায় হালদা

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী : দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। এ নদীতে চৈত্র-বৈশাখ মাসে রুই, কাতলা মৃগেল ও কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে। চৈত্র মাসে হালদা নদীতে ছাড়া ডিম খুবই উৎকৃষ্ট। এ ডিমের পোনা দ্রুত বর্ধনশীল। বাংলা বছরের শেষ মাস থেকে বিশেষ করে ফাল্গুন মাসের শেষ দিকে সাংগু, মাতামুহুরী, কর্ণফুলীসহ বিভিন্ন শাখা নদী ও খাল থেকে মা মাছ হালদা নদীতে চলে আসে।
প্রতি বছরের মতো এবারও মা মাছগুলো হালদা নদীতে এসেছে। মাছের পেট ভর্তি ডিম নিয়ে চৈত্র মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা এই বড় দুটি সময় চলে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় মা মাছ ডিম ছাড়েনি। নদীতে ডিম ছাড়তে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ প্রয়োজন। বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের বেগ প্রবল হলে মা মাছগুলো উজানে এসে ডিম ছাড়ে। কিন্তু এবার চৈত্র মাসে সামান্য বৃষ্টি হলেও প্রবল বর্ষণ হয়নি। বর্ষণ না হওয়ায় হালদা নদীতে ঢলের বেগ না থাকায় মা মাছ চৈত্র মাসে ডিম ছাড়েনি।
জানা যায়, গত বছর ডিম আহরণকারীরা ফাল্গুন মাস থেকে ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকে। এবারও ডিম আহরণকারীরা ইতোমধ্যেই তাদের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। একসময় ‘মাটির কুয়া’ ডিম থেকে রেনু ফোটানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল। সনাতনী এ পদ্ধতিতে ডিম ফোটাতে গিয়ে অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যেত। বিষয়টি সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগের দৃষ্টিগোচর হলে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে হাটহাজারীতে চারটি এবং রাউজানে তিনটি হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব হ্যাচারিতে আধুনিক পদ্ধতিতে ডিম থেকে রেনু ফোটানো হয়। এতে করে ডিম বেশি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। হালদা নদী হাটহাজারী ও রাউজানের সীমানা নির্ধারণকারী। হাটহাজারী-রাউজান সীমানায় মা মাছ ডিম ছাড়ে বলে এ দুই উপজেলায় সরকার ডিম ফোটানোর জন্য সাতটি হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করেছে। সামনে অমাবস্যা। এ সময় বর্ষণ হলে মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। ইতোমধ্যে নদীতে মা মাছের আনা গোনা দেখা গেছে বলে ডিম আহরণকারীরা জানিয়েছেন।
হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য সূত্রে জানা যায়, ডিম আহরণের জন্য আহরণকারীরা প্রস্তুত রয়েছে। সেজন্য মৎস্য বিভাগ হ্যাচারিগুলোর মেরামত কাজ চলছে। নদী থেকে দুর্বৃত্তরা যাতে মা মাছ মারতে না পারে এ জন্য পাহারার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৃষ্টি

৫ অক্টোবর, ২০২২
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ