পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
![img_img-1720187098](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678114576_20.jpg)
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্রনীতিই একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মেরকেল। ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে অধিকৃত ইহুদি ভ‚খন্ডে নতুন করে ইসরাইলের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা বিষয়ে উদ্বেগ জানান মেরকেল। গত শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমতীরে আবাসন স্থাপনের বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রধান অন্তরায়। ফিলিস্তিন ইস্যুতে তার অবস্থান পূর্বের মতোই, এক্ষেত্রে দুই-রাষ্ট্র নীতি ছাড়া যুক্তিসঙ্গত বিকল্প কোনো সমাধান নেই বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল উভয় রাষ্ট্রের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তায় থাকার অধিকার রয়েছে, আর এ ক্ষেত্রে আর কোনো বিকল্প নেই। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের বিপক্ষে মেরকেলের অবস্থান ব্যক্ত করলেন। ট্রাম্প ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে তার দোদুল্যমানতা রয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিমতীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল ৫০ বছর যাবৎ পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরাইল। অবশ্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরাইল। পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত প্রায় ১৪০টি বসতিতে ৬ লাখেরও ইসরাইলি বসবাস করে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরাইল তা মানতে চায় না। আর এই বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সাল থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা স্তবির রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জার্মান সরকার ইসরাইলের সঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছে। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিতানিয়াহুর একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলের সম্পর্কে ভাটা পড়েছে। আগামী মে মাসে বার্লিনে জার্মান ও ইসরাইলের সরকার পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ফিলিস্তিন ইস্যুর জের ধরে নেতানিয়াহুর সফর বাতিল করা হয়েছে। আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।