গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে একদল সন্ত্রাসী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি)কে মারপিট, মোটর সাইকেল ভাঙচুরসহ ত্রাস সৃষ্টি করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি অন্য মামলার বাদীকে অপহরণের চেষ্টা করে। আদালতের স্টাফ, আইনজীবী, মহুরীগণ ধাওয়া করে ১ সন্ত্রাসীকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় দ্রæত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি) মো. মিজানুর রহমান মন্ডল প্রতিদিনের ন্যায় আদালত চত্বরে প্রবেশকালে মেইনগেটে পৌঁছিলে পান্থা পাড়া গ্রামের বাবলু শেখের ছেলে মিলন(২৮), বিশ্বনাথপুর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে বিপুল(২৭),সিংগা গ্রামের নজমলের ছেলে রুবেল(২৭), ধরমা গ্রামের হোদা গাছুর ছেলে মোখলেছার(৩৫) সহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলের পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের ০৬/১৭ নং অন্য মোকদ্দমার বাদী পাশ্ববর্তী বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে মো. মোখলেছুর রহমানকে টেনে হিছড়ে অপহরণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মিজানুর রহমানকে মারপিট ও তার মোটর সাইকেল ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় মিজানুর রহমানের চিৎকারে আদালতের স্টাফ, আইনজীবী, মহুরীগণ ছুটে এসে মিজানুর রহমানকে উদ্ধার এবং ধাওয়া করে সন্ত্রাসী মিলনকে আটক করে। অন্য সন্ত্রাসীরা মিজানুর রহমানকে হত্যার হুমকী প্রদান করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এপিপি মিজানুর রহমান বাদি হয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দাখিল করলে পুলিশ তা দ্রুত বিচার আইনে রুজু করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মুজিবুর রহমান পিপিএম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক মিলনকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।