Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিবাদীর ঘরে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা তল্লাশীর নামে আসবাবপত্র তছনছ

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদীর ঘরে গাঁজা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ। তবে এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর প্রকাশ গ্রামের প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার ঘরে সোমবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী মিনা বেগম ও তার জা দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সায়ীদ আবদুল মালিকের বড় বোন আইরিন সুলতানাসহ পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২৩ মার্চের একটি ঘটনায় সোমবার সকালে প্রতিপক্ষ বাবলু, রাসেল মিয়া ও মামুনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১৩৪৪) করি। কিন্তু সোমবার রাত আনুমানিক বারটায় চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই শাহজাহান ও এএসআই মেহেরাজের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তার শ্বশুরকে ঘুম থেকে ডেকে উঠায়। এসময় তাদের সাথে আমাদের প্রতিপক্ষ একই বাড়ির বাবলু ও রাসেল মিয়া ছিল। পরে শ্বশুরকে নিয়ে পুলিশ আমাদের ঘরের দরজার খোলার জন্য বলে। আমরা দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের কোথায় ৫০ কেজি গাঁজা রাখা হয়েছে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে। আমরা তাদেরকে বলি, গাঁজা কি জিনিস চিনি না এবং আমাদের ঘরে থাকার প্রশ্নই আসে না। কারণ-আমাদের ঘরে শ্বশুর ছাড়া আর কোন পুরুষ লোক নেই। এতে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে গাঁজা তল্লাশীর নামে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। এসময় আমরা আগের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আরিফকে ফোন করলে তিনি উপস্থিত অফিসারদের সাথে কথা বললে তারা এ ঘটনা কাউকে না জানাতে নিষেধ করে যান। জানালে আমাদের ক্ষতি হবে মর্মে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে প্রতিপক্ষ একই বাড়ির বাবলু ও রাসেল মিয়া ঘরের ভাঙা দরজা দিয়ে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। দু’জনে অস্ত্রের মুখে ঘরে সবাইকে জিম্মি করে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা বলে- এখন কই তোদের এসআই আরিফ। তাকে আসতে বল। এঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এসআই আরিফ জানান, আমার ফোন পেয়ে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
কালিকাপুর ইউনিয়নের যুবলীগ সেক্রেটারি, সাবেক মেম্বার ও গ্রামের সর্দার জসিম উদ্দিন জানান, পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানের চেষ্টা করে। কারণ- মীনা বেগমের ঘরে সে আর তার বৃদ্ধ শ্বশুর ছাড়া কেউ থাকে না।
চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই শাহজাহান জানান, ইনফরমেশনের ভিত্তিতে ওই ঘরে অভিযান চালাই। এসময় দরজা ধাক্কা দিলে সেটি ভেঙে যায়। তবে পরে বুঝতে পারি- বিষয়টি সাজানো নাটক। পারিবারিক বিরোধ হওয়ায় ঘটনাটি আর কাউকে না জানাতে বলি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ